বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর ইস্যুতে এবার ইডির চিঠির জবাব দিল এসএসকেএম হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, আদালত থেকে সবুজ সংকেত মেলার পর
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujaykrishna Bhadra) কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে অক্টোবর মাসে চিঠি দিয়েছিল ইডি। এবার সেই চিঠিরই জবাব এল।
সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Board) গঠন করা হচ্ছে। সমস্ত দিকে দেখে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমে রোগীর (সুজয়কৃষ্ণের) শারীরিক অবস্থাকে বিবেচনা করা হবে।
এদিকে পাল্টা ইডির দাবি, এসব করে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে চাইছে। হাসপাতাল সহযোগিতা না করলে, ভবিষ্যতে হাইকোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে ইডি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে ইডির চাই সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বর। যা হাতে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। তবে হয়নি সুরাহা।
বহুদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে বেজায় অসুস্থ তিনি। ওদিকে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বর বদলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাম-বিজেপি (CPM-BJP) উভয়ই। সব মিলিয়ে কাকুর গলা নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল।
আরও পড়ুন: ডবল খুশি! আগামী বছর অনেক বেশি ছুটি পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা, তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন
উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। ইডির দাবি, বিষ্ণুপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে।
ইডির দাবি সুজয়কৃষ্ণ রাহুলকে ফোনে থাকা কুকীর্তির কিছু তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। তবে সত্যিই সেই কণ্ঠস্বর যে সুজয়কৃষ্ণেরই কী না তা এখনও জানা যায়নি। ধন্দই থেকে গিয়েছে। এরপর গত জুলাই মাসে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহের জন্য আদালতে আবেদন জানায় ইডি। অনুমতিও দেয় আদালত।
যদিও এরপরই হঠাৎ সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রীর প্রয়াণ হয়। স্ত্রীর শেষকৃত্যের সময় আদালত তাকে প্যারোলে মুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়। এদিকে প্যারোলের মেয়াদ ফুরোলে জেলে ফিরতেই বুকে ব্যাথা শুরু হয় সুজয়কৃষ্ণের। তড়িঘড়ি তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার বাইপাস সার্জারি করানো হয়।
বাইপাস সার্জারির পর ছাড়া পেলে ফের প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয় তাকে। তবে জেলে ফিরতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। তড়িঘড়ি SSKM হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেই থেকে সেখানেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তবে অধরা তার কণ্ঠস্বরের নমুনা।