বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যে বাতাস পুজোর হাওয়া লেগে গেছে। বহু মানুষ এখন শেষ মুহুর্তের শপিং করছে। পাশাপাশি অনেকে এই পুজোর আবহে শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আপনি যদি এই মুহুর্তে ঘুরতে না গিয়ে পুজোর পরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন উত্তরবঙ্গে। তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। কারণ পুজোর পরে নভেম্বরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা অনেকেই করেন। সেই সময় হিমাচল ও দার্জিলিংয়ে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ট্যুরিস্টের ভিড় থাকে। আর এবার ভাবছেন আপনি উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাবেন। তাহলে যেতে পারেন কালিম্পং (Kalimpong)। সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মন ভালো করতে বাধ্য।
ছুটির আনন্দ বাড়াতে লাভা-লোলেগাঁও সেরা গন্তব্য (Kalimpong)
পুজোর পরে আপনি যদি উত্তরবঙ্গ ঘুরতে যান। তাহলে সবুজে মোড়া ডুয়ার্সের হাতছানি অথবা দার্জিলিং এর কথা ভাববেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের এই দুটি জায়গা বাদেও যেতে পারেন কালিংপং (Kalimpong) এর এই দুটি অচেনা গ্রামে। যেখানে গেলে প্রাকৃতিক নির্জনতা আপনি প্রাণভরে উপভোগ করতে পারবেন। আপনি যেতে পারেন লাভা ও লোলেগাঁও।
আরও পড়ুন: ঠাকুরদর্শন হোক বা আড্ডা, কোলেস্টেরল রোগীরা এড়িয়ে চলুন এই ৪ খাবার
কালিংপং (Kalimpong) শহরের ছোট একটি গ্ৰাম লাভা। পাইন বন এসে মিশেছে এই পাহাড়ের ঢালে। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি বাড়ি। আপনি পাবেন একাধিক মনাস্ট্রি। এর পাশেই রয়েছে গুম্ফাদের স্কুল। এখানে ঘুরতে গেলে অনায়াসে ২-৩ দিন প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
লাভার থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত লোলেগাঁও। লাভা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি। এখানের সূর্যোদয় দেখলে মন সার্থক হবে। তাছাড়া রাতের আকাশে ভরা তারাদের মাঝে ৩-৪ দিন দিন কাটাতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন , কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদা অথবা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং হয়ে লাভা- লোলেগাঁও পৌঁছতে হবে। তবে এই জায়গাটি অফবিট হলেও এখানে বেশ কিছু হোম স্টে আছে। তবে আগের থেকে বুক করে আসা ভালো (Kalimpong)।