বাংলা হান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে বঙ্গে শীত ঢুকতে শুরু করেছে। আর এই শীতের সময় বহু মানুষই ঘুরতে যান। তাছাড়া এই শীতের সময় গোলাপি ফুলের সেজে ওঠে সিকিমের টেমিং টি গার্ডেন। তবে বললে চেরি ব্লসম দেখতে হলে আপনাকে এবার আর সিকিম যেতে হবে না। কারণ উত্তরবঙ্গের কালিংপং এ (kalimpong) এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে আপনি এই সময় ঘুরতে গেলে দেখতে পাবেন চেরি ব্লসম। আর সেই গ্রামটির নাম হল সামাবিয়ং গ্ৰাম।
গোলাপি ফুলের ছোঁয়া চাই? কালিম্পংয়ের এই গ্রামে পাবেন চেরি ব্লসমের ছোঁয়া (kalimpong)
আপনি যদি চেরি ব্লসম দেখতে চান তাহলে আপনাকে মেঘালয় শিলং অথবা সিকিমের টেমি চা বাগানে ঘুরতে যেতে হবে। তবে সেখানে যদি যাওয়ার মতন সময় না হয়ে থাকে। এবং হাতে অল্প কিছুদিনের সময় থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন কালিম্পং (kalimpong) এর সামাবিয়ং গ্ৰামে।

আরও পড়ুন: পিঠে খাওয়ার মুড? বাড়িতেই খুব সহজেই বানান টেস্টি পাটিসাপটা, রেসিপি রইল
কালিম্পং জেলার আলগাড়া ২ নম্বর ব্লকের সামাবিয়ং টি এস্টেট। এখানে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে গিয়ে সবুজ চা বাগান। আর তার মাঝি রুপের ডালি নিয়ে সাজিয়ে বসেছে চেরি ব্লসম। এই জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাধারণত নভেম্বর মাসের শুরুতেই এই গাছগুলিতে ফুল ফোটে। যদিও এই বছর কিছুটা দেরিতে ধরা দিয়েছে চেরি ব্লসম।
পাশাপাশি এখানে শাড়ি দিয়ে রয়েছে গোলাপি ও সাদা ফুলের গাছ। আর এই জায়গায় গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য। তাই পর্যটক এরা এখন এই জায়গায় বেশি ঘুরতে যাচ্ছেন। পাশাপাশি এইখানে দাঁড়িয়ে বেশ অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন। তাছাড়া এই গ্রামটি কালিম্পংয়ের আর পাঁচটা গ্রামের থেকে একটু আলাদা। কারণ এইখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ চা বাগান আর ঢেউ খেলানোর সবুজ পাহাড়। আর তার মাঝেই উঁকি দিচ্ছে চেরি ব্লসম।
পাশাপাশি এই পাহাড়ের নিচে দিয়ে বয়ে চলেছে গীতখোলা। এবং আপনি যদি ঘুরতে যান এখানে তাহলে এখানকার চা বাগান গুলি ঘুরে দেখতে পারবেন। এছাড়াও এইখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে। তারপরের দিন আপনি ঘুরে আসতে পারেন, শেরপা গাঁও, লাভা, রিশপ, দুকা ফলস, কোলাখাম, নকদাড়া ইত্যাদি জায়গা।
কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন?
চেরি ব্লসম দেখার জন্য আপনি যদি যান তাহলে নভেম্বর মাসে যাওয়াই ভালো কালিংপং এর (kalimpong) সামাবিয়ং গ্ৰামে। তাছাড়া বর্ষাকালেও আপনি এখানে যেতে পারেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ওদলাবাড়ি হয়ে সামাবিয়ং পৌঁছতে সময় লাগবে তিন ঘন্টা। আর আপনি যদি মালবাজার দিয়ে যেতে যান তাহলে দেড় ঘন্টা সময় লাগবে। এবং এখানে বেশ কয়েকটি চা বাগানো রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েকটি হোমস্টে। অনায়াসে তিন দিন এখানে আপনি সময় কাটাতে পারবেন।












