বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। শনিবার রাখির দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে ‘তিনবার আশীর্বাদ’ দেওয়ার পর শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) সম্প্রতি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ভুলভাল মন্তব্য করায় তিনি অনুতপ্ত। তবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর প্রতি তাঁর ক্ষোভ যে একটুও কমেনি সেটা বোঝা গেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) পরবর্তী মন্তব্য থেকে।
মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে ‘নিম্নমানের’ শব্দের ব্যবহার করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, মহুয়া মৈত্র ‘নিম্নমানের’ এবং তাঁকে নিয়ে কথা বলা সময় ও শক্তির অপচয়। তাঁর দাবি, মহুয়ার জন্যই তিনি মাথা গরম করে দিদিকে ভুলভাল কথা বলেছিলেন, যা নিয়ে এখন খারাপ লাগছে। এক জুনিয়র আইনজীবীর পাঠানো একটি মেসেজ তাঁর ভাবনায় বদল এনেছে বলে জানান তিনি।
রাখির দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে কল্যাণ (Kalyan Banerjee) জানান, তিনি দিদিকে প্রণাম জানিয়েছেন এবং মমতা তাঁকে তিনবার আশীর্বাদ করেছেন। তবুও মহুয়াকে তিনি দোষারোপ করেন নিজের মন্তব্যের জন্য।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী দলের সাংসদদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে লোকসভার অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর কল্যাণ (Kalyan Banerjee) লোকসভার মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং মহুয়ার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র মন্তব্য করেন। পাল্টা, এক পডকাস্টে মহুয়া নাম না করে ‘শূকরশাবক’ সংক্রান্ত একটি উপমা ব্যবহার করেন, যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। কল্যাণ (Kalyan Banerjee) দাবি করেন, মহুয়ার মন্তব্য অবমাননাকর ও শিষ্টাচারবিরোধী।
আরও পড়ুনঃ ভরা বাজারে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের উপর চলল দেদার গুলি, উত্তপ্ত কোচবিহার
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে যে তাঁর দ্বন্দ্ব প্রশমিত হয়নি তা বোঝা গিয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকেই। ফলে, তৃণমূলের ভেতরের এই তিক্ত সম্পর্ক দলীয় রাজনীতিতে নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরি করেছে।