বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শাসক শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে পদ সহ তৃণমূল ছাড়লেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। সোমবার দুপুরেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের বহু পুরোনো এই সৈনিক। এদিন তাপস রায়ের দল ছাড়ার পর থেকেই রীতিমতো সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ক্রমশই চড়ছে পারদ। আর এই ইস্যুতেই এবার বোমা ফাটালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
তাপস ইস্যুতে কথা উঠতে এদিন আদালত চত্বরেই মেজাজ হারালেন প্রবীণ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন নেতা। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলনেতাশুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাথে তাপসের যোগসাযোগ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল কল্যাণবাবুর মুখে।
আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্যমের সামনে রীতিমতো চিৎকার করে কল্যাণ বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সাথে ওর যোগাযোগ ছিল। দরকার নেই এদের দলে রাখার।’ এদিন সকালেই তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে কল্যাণবাবু বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনো অভিমান কিছু হয়না। যারা গেছে তারা বুঝবে।’
কল্যাণের বার্তা, ‘যারা বেশি তেল লাগাতে যাবে তাদের তেল লাগাতে আমি বারণ করব। বেশি তেল লাগানোর দরকার নেই। এদের দলে রাখারও কোনো দরকার নেই।’ তবে কল্যাণ যাই বলুক না কেন, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তাপস রায়ের দল ছাড়া যে তৃণমূলের জন্য বিরাট ধাক্কা, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই তাপসবাবুর দল ছাড়ার জল্পনা চলছিল। এদিন বিধায়ককে ধরে রাখতে শেষ চেষ্টাও করে তৃণমূল। তবে কুণাল-ব্রাত্যর দু-ঘণ্টা টানা বৈঠকের পরও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। দল ও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন তাপস রায়।
আরও পড়ুন: সাথেই রাখুন ছাতা! একটু পরই ঝড়-বৃষ্টি শুরু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায়: আবহাওয়ার খবর
শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল-ত্যাগের পর বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তাপস। কেউ কেউ এও দাবি করছেন, লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন তিনি। তবে সেই কেন্দ্রে সজল ঘোষের নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাপস নিজে কোনও বিষয়েই কোনও প্রকার মন্তব্য করেননি।