বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপাল বনাম কল্যাণ সংঘাত চরমে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) রাজভবন সংক্রান্ত মন্তব্যের জেরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিলেন কল্যাণবাবু। খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল সাংসদ।
রাজ্যপালের পাল্টা অভিযোগ দায়ের কল্যাণের | Kalyan Banerjee
হেয়ার স্ট্রিট থানাতেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৫টি ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র মজুত’ অভিযোগ তুলেছিলেন কল্যাণ। পাল্টা সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে মঙ্গলবারই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন সকালেই কল্যাণ জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ। কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই থানায় বঙ্গ রাজ্যপাল, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের শাসকদলের নেতার।
জানা যাচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬১, ১৫২, ১৯২, ১৯৬ এবং ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে,’ ১৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজভবন, কলকাতা থেকে একটি প্রেস কনফারেন্স করেন, যা হেয়ার স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনের অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে। ওই প্রেস কনফারেন্সে সি. ভি. আনন্দ বোস কিছু অজ্ঞাত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে, জেনে-শুনে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য রাখেন যা সরকার ও রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহমূলক ও/অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে। বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব ছড়ায়, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে।”

অভিযোগপত্রে সি ভি আনন্দ বোসের নাম, ঠিকানা, বাবার নাম লেখা হলেও, পদটি লেখা হয়নি। রাজ্যপাল নয়, শুধুমাত্র ব্যক্তি সি ভি আনন্দ বোসের নাম করেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এদিকে কল্যাণের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ১৫১ ও ১৫২,১৯৭, ১৯৬ এ,১৯৬ বি, ৩৫৩ -১ বি ও ৩৫৩ সি, ৩৫৩-২ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে গতকালই।












