বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের অন্দরে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র মনোমালিন্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রকাশ্যে একে অপরকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ, পদত্যাগ, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কড়া শৃঙ্খলাবার্তা, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। তবে রাখির দিনে সব অভিমান গলে গিয়ে তৈরি হল নতুন অধ্যায়। কল্যাণ (Kalyan Banerjee) নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে কথা বললেন, জানালেন তিনবার আশীর্বাদ পেয়েছেন দিদির কাছ থেকে।
‘তিনবার আশীর্বাদ করেছেন দিদি’, জানালেন কল্যাণ (Kalyan Banerjee)
শনিবার রাখির দিনে সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “দিদিকে প্রণাম জানিয়েছি, দিদি তিনবার আশীর্বাদ করেছে। একবার নয়, তিনবার।” সাংসদ খোলাখুলি স্বীকার করেন যে তিনি অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে ফেলেছেন, যা না বললেই ভালো হত। তাঁর কথায়, “আননেসেসারি নারীর জন্য নষ্ট করছি, তার জন্য অনেকের কাছে খারাপ হয়ে যাচ্ছি। দিদিকে অনেক উল্টোপাল্টা বলে ফেলেছি, এটা না বললেই হয়ত ভাল হতো।”
প্রসঙ্গত, এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত কয়েকদিন আগে, যখন মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে কল্যাণ (Kalyan Banerjee) ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেন, পাশাপাশি নাম না করে কড়া সুরে বলেন, “দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।” সেই সময় কল্যাণ দলের অর্ধেক সাংসদ উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ করেন।
পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কল্যাণের (Kalyan Banerjee) সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। ধীরে ধীরে বরফ গলতে শুরু করে। শনিবারের ফোনালাপ সেই প্রক্রিয়াকে শেষমেশ পূর্ণতা দিল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে কড়া পদক্ষেপ, বাংলার ৭ সহ দেশের ৩৩৪ টি দলকে বাদ দিল নির্বাচন কমিশন
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) হাসিমুখে বক্তব্য স্পষ্ট করল, দলের সঙ্গে তাঁর অভিমান মিটেছে। মমতার তিনবারের আশীর্বাদ, অতীতের কথা ভুলে নতুনভাবে শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বার্তা তৃণমূলের অন্দরে ফের শান্তি ও ঐক্যের আবহ তৈরি করবে।