Ekchokho.com 🇮🇳

কসবায় ‘রক্ষকই ভক্ষক’! রাজনীতিতে নারীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত কল্যাণ

Published on:

Published on:

Kalyan Banerjee angry over Kasba case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল কলেজ গণধর্ষণকাণ্ডে শাসকদলের ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই এক কর্মীর তরফে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মুখ খুলেছেন তিনি। এবার সরাসরি বললেন—“রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে ওঠে, তা হলে মহিলারা রাজনীতিতে কীভাবে আসবেন?” দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই শাসকদলের ভিতরে ধর্ষকদের জায়গা নেই বলেও স্পষ্ট বার্তা দিলেন তিনি।

শ্রীরামপুর থেকে চরম বার্তা, কল্যাণের (Kalyan Banerjee) গর্জন

রোববার শ্রীরামপুরে এক সভায় দাঁড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরা জঘন্য অপরাধ করেছে, বিচার না থাকলে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গুলি করে মারা উচিত।” তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক শূন্যতায় মহিলাদের আশঙ্কার কথাও। বলেন, “রাজনীতিতে মহিলারা আসবেন কীভাবে, যদি নেতারাই ধর্ষণে অভিযুক্ত হন?” প্রথম থেকেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব তিনি। তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে নীরব থাকলেও কল্যাণের বার্তা এখন কার্যত একক আওয়াজ।

ঘটনার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেছিলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা তো আছেই, কিন্তু যদি বন্ধুই ধর্ষণ করে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা কী করতে পারে?” পরে অবশ্য সেই সুর থেকে অনেকটাই ঘুরে গিয়ে দলীয় মঞ্চেই তিনি জানিয়ে দেন—এই ঘৃণ্য অপরাধীদের জায়গা কোনও দলে হতে পারে না। বরং তাঁদের ফাঁসি হওয়াই উচিত (Death Penalty, Political Misconduct)।

ছাত্র সংগঠনেই ধর্ষণ, অভিযুক্তরাও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ

কসবা ল কলেজের গার্ড রুমে আটকে রেখে শাসকদলের ছাত্র নেতারা এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা এবং পেশায় আইনজীবী (TMCP, Legal Profession)। আরও দু’জন বর্তমান ছাত্র ও এক নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগকারিণী নিজেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। ফলে দলের অন্দরেই অস্বস্তি তীব্র।

Kalyan Banerjee angry over Kasba case

আরও পড়ুনঃ ২০২৬-এ শ্যামাপ্রসাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার ডাক রাজ্য বিজেপির, রেড রোড থেকে বার্তা শমীক ভট্টাচার্যর

বদনাম ডেকে আনছে এরাই, বার্তা স্পষ্ট কল্যাণের (Kalyan Banerjee)

সাংসদের প্রশ্ন, “এমন মানসিকতার লোক আমাদের দলে থাকবে কেন? বরং এরাই তৃণমূলের বদনাম ডেকে আনছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ নিয়ে যেভাবে তিনি সরব হয়েছেন, তা দলের অভ্যন্তরেও বড় বার্তা পাঠাচ্ছে। ভিডিওতেও কল্যাণের বক্তব্য রীতিমতো ভাইরাল (Video, Viral Statement)। এখন দেখার, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর এই বার্তায় কী প্রতিক্রিয়া দেয়।