বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘হেনস্থা’ করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম রাজ্যের রাজনীতিতে। এই নিয়ে একাধিক মতবিরোধও তৈরি হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তলে তৃনমূল বলে, বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশী’ তকমা দেওয়া হচ্ছে, হেনস্থা করা হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই মর্মেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এদিন শুনানিতে ওড়িশা সরকারের যুক্তি শুনে আরও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা।
কতজন গুজরাটি বা তামিলকে গ্রেফতার করেছেন? প্রশ্ন কল্যাণের
আজ, অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। ওড়িশা সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন এজি পি আচার্য (AG P Acharya)। তিনি বলেন, “বাঙালিরা আমাদের ভাই। এরা আমাদের প্রতিবেশী। দেশের নাগরিক কি না, সেটাই যাচাই করা হচ্ছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” এই সওয়ালের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন করেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি বলেন, “তাহলে জানান, কতজন গুজরাটি বা তামিলকে গ্রেফতার করেছেন?”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও প্রশ্ন তোলেন, “৪০০ জন বাঙালিকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? হঠাৎ করে তাঁরা কীভাবে বিদেশি হয়ে গেলেন? কীসের ভিত্তিতে সন্দেহ?” এই সময় ওড়িশার এজি পি আচার্য (AG P Acharya) বলেন, “ফরেনার্স আইন (Foreigners Act) অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মাত্র। বাঙালি-অবাঙালি বলে বিভ্রান্ত করবেন না। পুরীতে আসুন নিমন্ত্রণ রইল।”
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখতে এনআরসি চাই’, কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল মামলা, আগামী সপ্তাহেই শুনানি
তবে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে, ২৯ অগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ওড়িশা সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে, বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, না কি শুধুই যাচাইয়ের জন্য আটক রাখা হয়েছে। আদালত গোটা ঘটনাটিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষক মহল।