ডিভোর্স চূড়ান্ত! আইনিভাবে আলাদা হলেন কাঞ্চন-পিঙ্কি, খোরপোশের অঙ্ক শুনলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর তিনেকের মামলার পর অবশেষে আইনি সিলমোহর পড়ল কাঞ্চন-পিঙ্কির (Kanchan Mullick) ডিভোর্স (Divorce) পেপারে। একটা সময় তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক যেরকম টালমাটাল অবস্থায় ছিল তাতে সকলেরই চিন্তা ছিল, কী হয় কী হয়। তবে অবশেষে আদালত টলিপাড়ার তারকাদম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষেই রায় দিয়েছে।

একটা সময় কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্য কলহ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। টলি পাড়ার অন্দর মহলে কান পাতলেই শোনা যেত তাদের বৈবাহিক কলহের গল্প। একটা সময় তো সিনেসংগঠনকেও বিবৃতি প্রকাশ করে জানাতে হয়েছিল যে, দুজনেই সিনেইন্ডাস্ট্রির অংশ, তাই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়ে কেউ ‘নাক গলাবে’ না!

এসবের মাঝেই সামনে আসে টলিপাড়ার অপর এক অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের (Sreemoyee Chattoraj) নাম। কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে বিষ্ফোরক সব মন্তব্য করেছিলেন। যদিও কাঞ্চন, শ্রীময়ী দুজনেই এই দাবি অস্বীকার করে এসেছেন। যদিও তাদের ছবি, ভিডিও, রিলস অন্যকিছু বলে।

আরও পড়ুন : কী কেলেঙ্কারি! বাঁশ বাগানে প্যান্ডেল খাটিয়েই চলল সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ, বাংলায় ফের দুর্নীতির গন্ধ

কখনও একুশে জুলাইয়ের সভায় আবার কখনও বা রং মিলান্তি পোশাকে সেচমন্ত্রীর বাড়ির দুর্গাপুজোয়। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রেমের গুঞ্জন এখন সর্বত্র। গত দু’বছর ধরে তারকা বিধায়কের বাড়ির অনুষ্ঠানের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। অনেকেই তো বলছে, কাঞ্চন পিঙ্কির বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া আটকে থাকার কারণেই আটকে রয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে।

আরও পড়ুন : হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ফুলকি-গীতার মধ্যে, প্রথম পাঁচে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’! বড় রদবদল TRP তে

banglahunt 20230827 123955 0000 768x402.jpg

তবে এবার আর সেই বাধা রইলনা। সূত্রের খবর, গত ১০ জানুয়ারি পিঙ্কি-কাঞ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিয়েছে আদালত। তারপর টানা একটা মাস কেটে গেলেও দুজনের কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কাঞ্চনকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদের খবর সত্যি। তবে এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু একেবারেই বলতে চাই না।’ অন্যদিকে পিঙ্কি বলেছেন, “কাজে ডুবে রয়েছি। ভালো আছি।” বলে রাখা ভালো, টলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, খোরপোশ হিসেবে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে কাঞ্চন মল্লিককে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর