বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিপাড়ার আনাচে কানাচে গসিপের বিষয় এখন একটাই, আমির খান (Aamir Khan)। তাঁর আসন্ন ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha) ও ছবি মুক্তির আগে তৈরি হওয়া হুলুস্থূল পরিস্থিতিই এখন চর্চার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। নেটপাড়ায় রোজ ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসছে ‘বয়কট লাল সিং চাড্ডা’। ভারত বিদ্বেষী, হিন্দু বিদ্বেষী কটাক্ষে জর্জরিত আমির। হাতজোড় করে আর্জি জানিয়েছেন ছবি বয়কট না করতে। অন্যদিকে কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut) কটাক্ষ, সবটাই নাকি আমিরের নাটক!
বলিউডের ‘কুইন’ এর দাবি, এত নেতিবাচকতা ছড়ানোর পরিকল্পনা আসলে আমিরেরই। এভাবেই ছবি হিট করার ধান্দায় রয়েছেন তিনি। কঙ্গনার দাবি, টুইটারে লাল সিং চাড্ডা বয়কটের ডাক, ছবি না দেখার আর্জি, ঘৃণা ছড়ানো এই সবটাই নাকি ইচ্ছা করে করেছেন আমির।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, লাল সিং চাড্ডা মুক্তির আগে যে এত নেতিবাচকতা ছড়িয়েছে সবটাই আমির খান জির সুনিপুণ পরিকল্পনা। এ বছর একটি কমেডি ছবির সিক্যুয়েল ছাড়া কোনো হিন্দি ছবি সফল হয়নি। শুধু ভারতীয় সংষ্কৃতির বাহক এবং স্থানীয় উপাদান যুক্ত দক্ষিণী ছবিই চলেছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘একটা হলিউডের রিমেক এমনিতেই চলত না। কিন্তু এখন সবাই বলবে ভারত অসহিষ্ণু। হিন্দি ছবির দরকার দর্শকদের চাহিদাটা বোঝার। হিন্দু মুসলিমের ব্যাপার নয়। আমির খান জি হিন্দু বিরোধী পিকে বানিয়ে, ভারতকে অসহিষ্ণু বলেও জীবনের বড় হিটগুলো দিয়েছেন। ধর্ম বা মতাদর্শ নিয়ে মাতামাতি বন্ধ হোক। এতে ওদের বাজে অভিনয় বা বাজে ছবিগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, ভারত এমনিতে খুব সহিষ্ণু দেশ হলেও কিছু মানুষ আছেন যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘৃণা, হিংসা ছড়ান। শুধু তাই নয়, তিনি আরো বলেছিলেন, দেশের পরিস্থিতির জন্য স্ত্রী (এখন প্রাক্তন) কিরণ রাও নাকি সন্তানদের নিয়ে ভারত ছেড়ে চলে যেতে চান।
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল তখন। কিন্তু আমির হয়তো ভাবতেও পারেননি যে তাঁর এই মন্তব্য ভবিষ্যতে ছবির সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, তিনি নিজের দেশ ভারতকে ভালবাসেন। দয়া করে দর্শকরা যেন তাঁর ছবি দেখতে আসেন।