বাংলাহান্ট ডেস্ক: কমদিন হল না ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। ভাল মন্দয় মেশানো কেরিয়ার তাঁর। কিন্তু ২০২২ এর খারাপ বছর হয়তো আর কখনো দেখেননি তিনি। চলতি বছরেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধাকড়’ (Dhaakad)। এটি আবার কঙ্গনার কেরিয়ারের সবথেকে ফ্লপ ছবিও বটে।
২০ মে মুক্তি পেয়েছে ধাকড়। প্রায় ৯০-৯২ কোটি বাজেটে তৈরি হয়েছিল ছবিটি। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ধাকড়। প্রথম দিনে ১ কোটি টাকা তুলেছিল ছবিটি। অষ্টম দিনে গোটা দেশে মাত্র ৪ হাজার টাকা তুলতে পেরেছিল ধাকড়! এত খারাপ ফলাফল দেখে নাকি ছবির প্রদর্শনী বন্ধই করে দেওয়া হয়।
যে কদিন চলেছিল আনুমানিক ৩ কোটি টাকা তুলতে পেরেছে ধাকড়। নিন্দুকরা ইতিমধ্যেই ব্যর্থতার সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছে। তবে ছবি ফ্লপ হওয়া নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন কঙ্গনা। বরং ট্রোলারদের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ করে একটি বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বিগত ছবিগুলির ব্যবসার খতিয়ান দিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে আমার ‘মণিকর্ণিকা’ ১৬০ কোটি টাকা তুলেছিল। সুপারহিট হয়েছিল। ২০২০ ছিল করোনার বছর। ২০২১ এ আমার কেরিয়ারের সবথেকে বড় ছবি ‘থালাইভি’ এসেছিল OTT তে আর সেটা দারুন সফল হয়েছিল। আমি খুব নেতিবাচকতা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু ২০২২ ব্লকবাস্টার লক আপ সঞ্চালনার বছর। আর এটা এখনো শেষ হয়নি। আমার এখনো অনেক আশা রয়েছে।’
কঙ্গনার বহু প্রতীক্ষিত ছবি ধাকড়। ছবিটির জন্য অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কঙ্গনা। এই প্রথম ভারতীয় সিনেমায় মহিলা কেন্দ্রিক অ্যাকশনের গল্প আসতে চলেছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এজেন্ট অগ্নি হয়ে ওঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন অভিনেত্রী।
এমনকি ছবির প্রচারের জন্য বলিউড তারকাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ফিল্ম সমালোচকদের দাবি, সহজেই অনুমেয় গল্প আর কঙ্গনার মাঝারি মানের অভিনয়ের জন্যই মুখ থুবড়ে পড়েছে ধাকড়।
পরিস্থিতি এমনি হয়েছে যে OTT প্ল্যাটফর্ম এবং স্যাটেলাইট অর্থাৎ টেলিভিশনে সম্প্রচারের স্বত্ব পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে না ছবিটির। বড়পর্দায় ধাকড় এর পরিণতি দেখে জেনেবুঝে ক্ষতি করতে রাজি নয় কোনো প্ল্যাটফর্মই। উপরন্তু ছবি মুক্তির আগে অতিরিক্ত লাভের আশায় স্বত্ব বিক্রি না করে কার্যত নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মেরেছেন নির্মাতারা।