বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরেই কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) ট্রোলের (troll) শিকার করন জোহর (karan johar)। পাক্কা দু মাস পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরলেন করন। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। শেষবার ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে পোস্ট করেছিলেন তিনি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই অনবরত ট্রোল, সমালোচনার শিকার হয়ে চলেছেন করন জোহর। বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একরকম অবসরই নিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ দু মাস পর ফের ১৫ অগাস্ট পোস্ট করলেন করন। ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
করন লেখেন, ‘আমাদের মহান দেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাসের স্বর্ণখনি। শুভ স্বাধীনতা দিবস। জয় হিন্দ’। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরলেও পোস্টের কমেন্ট সেকশন এখনও রেস্ট্রিকটেড করে রেখেছেন পরিচালক। তাতে অবশ্য নেটিজেনের ট্রোল থেকে রেহাই পাননি তিনি।
https://www.instagram.com/p/CD5teo5pBiM/?igshid=1tnfyco17cr8g
অপরদিকে দীর্ঘদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যাবর্তন করায় কঙ্গনা রানাওয়াতও একহাত নিয়েছেন করনকে। একটি শায়রির মাধ্যমে নিজের আন্দাজে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি পরিচালককে। টুইটারে কঙ্গনার টিমের তরফে পোস্ট করা হয়েছে এই শায়রি।
करण जोहर पे शायरी अर्ज़ है।
हमें नैशनलिज़म की दुकान चलानी है मगर देश भक्ति नहीं दिखानी है।पाकिस्तान से वार वाली फ़िल्म बहुत पैसा कमाती है, हम भी बनायेंगे मगर उसका विलेन भी हिंदुस्तानी है।अब थर्ड जेंडर भी आर्मी में आ गया है मगर करण जोहर तू कब समझेगा एक सेनानी सिर्फ़ सेनानी है😁🙏— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) August 15, 2020
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় দেখা না গেলেও নীতু কাপুরের জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন করন। তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ফের একদফা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পরিচারককে।
শুধু তাই নয়, মাঝে শোনা যায় ইনস্টাগ্রামে চুপিচুপি আরেকটি প্রাইভেট অ্যাকাউন্টও খুলেছেন করন। করনঅ্যাফেয়ার্স নামে ওই প্রাইভেট অ্যাকাউন্টটি ফলো করেন গৌরি খান, সুহানা খান, অনন্যা পাণ্ডে, শ্বেতা বচ্চন নন্দা সহ করনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব। বিষয়টি সম্ভবত প্রকাশ্যে আনতে চাননি করন। সে কারনেই এত লুকোছাপা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এই প্রাইভেট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েই আবারও ট্রোলিং শুরু হয় পরিচালককে।
তারপর থেকেই সেই অ্যাকাউন্টটির আর কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না ইনস্টাগ্রামে। মনে করা হচ্ছে, ট্রোলের মুখে পড়েই তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছেন করন।