বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্জাবের রাস্তায় কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। পঞ্জাবের মধ্য দিয়ে তাঁর গাড়ি যাওয়ার সময় ঘিরে ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা। অভিনেত্রীর গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর অবশেষে পঞ্জাব পুলিসের সহায়তায় সেখান থেকে বেরোতে পারেন কঙ্গনা।
শুক্রবার পঞ্জাবের চণ্ডীগড়-উনা হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল কঙ্গনার গাড়ি। কিরাতপুরের কাছে গাড়ি পৌঁছাতেই দলে দলে লোক এসে ঘিরে ধরে তাঁর গাড়িটি। কৃষক সংগঠনের পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে তাঁরা। গাড়ির ভেতর থেকেই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পরিস্থিতি দেখিয়েছেন কঙ্গনা।
রীতিমতো বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, চারিদিক নিয়ে মানুষ তাঁর গাড়ি ঘিরে রয়েছে। তিনি কি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব? এটা কী ধরনের ব্যবহার? প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা। তিনি অভিযোগ করেন, এখানে প্রকাশ্য রাস্তায় গণপ্রহারের আয়োজন করা হচ্ছে। এখানকার মানুষদের লজ্জা হওয়া উচিত।
কঙ্গনা আরো বলেন, তাঁর নায় করে রাজনীতি করা হচ্ছে। সে কারণেই এই পরিস্থিতি। বেশ কিছুক্ষণ গাড়িতে আটকে থাকার পর জানলা খুলে নিজেই বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হন কঙ্গনা। তাঁর হাত ধরে ভালভাবে বোঝাতেও দেখা যায় এক স্থানীয় মহিলাকে। পরেই আরেকটি ভিডিওতে কঙ্গনা বলেন, তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাবে। এই ঘটনার পর কঙ্গনার নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা চওড়া পোস্ট শেয়ার করেন তিনি, যার মোদ্দা কথা হল, তাঁর খালিস্তানি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যারা যারা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন।
হিন্দিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলায় শহিদদের স্মরণ করে আমি লিখেছিলাম যে বিশ্বাসঘাতকদের কখনো ক্ষমা না করতে আর না ভুলতে। এই ধরনের ঘটনায় দেশের মধ্যেকার গদ্দার, দেশদ্রোহীদের ভূমিকা থাকে। টাকা ও ক্ষমতার জন্য ভারতমাতাকে কলঙ্কিত করতে একটি সুযোগও ছাড়ে না গদ্দাররা। দেশের মধ্যেকার এই বিশ্বাসঘাতকরা দেশদ্রোহী শক্তিগুলিকে ষড়যন্ত্র করতে সাহায্য করে, যে কারণে এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটে।’
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলার জন্য খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কঙ্গনা। ওই পোস্টেই তিনি লিখেছেন, ‘আমি ক্রমাগত হুমকি পেয়ে চলেছি। ভাতিণ্ডার এক ব্যক্তি প্রকাশ্যেই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। তবে আমি এসব হুমকিতে ভয় পাই না। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আমি সবসময় সুর চড়াই। সেটা নক্সালরাই হোক যারা নিরীহ জওয়ানদের সত্যা করে বা টুকরে টুকরে গ্যাং হোক বা সেই জঙ্গিরা যারা দেশের বাইরে বসে স্বপ্ন দেখছিল যে পঞ্জাবকে ভেঙে খালিস্তান বানাবে।’