কেউ বিয়ে করবে না অগ্নিবীরদের! অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব কানহাইয়া কুমার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ সারাদেশ। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে গেছে সকল বিরোধী দল। সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর আসছে বিহার, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান থেকে। দেশজুড়ে চলা অগ্নিপথ আন্দোলন নিয়ে কংগ্রেস নেতা কানাইয়া কুমারের বক্তব্য, ‘অগ্নিবীরেরা চার বছর পর অবসর নিলে তাদের কি কেউ বিয়ে করবে?” বলে দিই, কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পকে ঘিরে সমালোচনায় মুখর বাম, ডান সব রাজনৈতিক দল।

গত শনিবার এ বিষয়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বিশেষ সভা করেন কানাইয়া কুমার। কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তার বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ডক্টর ডং মনে করেন। তার কাছে জনগণেরা হল খাঁচাবন্দি ইঁদুর। ইচ্ছেমত তিনি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন এবং দেখতে চান তারা কতটা লাফান”।

অগ্নিপথ আন্দোলনকে ঘিরে প্রথম অশান্তির আঁচ দেখা যায় বিহারে। ধীরে ধীরে সে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বিহার থেকে উঠে আসা কংগ্রেস নেতা কানাইয়া কুমারের বক্তব্য, “আমি বিহারের এমন একটি পরিবার থেকে এসেছি যেখানে পনেরো-ষোলজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। যুদ্ধের সময় আমার এক ভাই ও এক আত্মীয় দেশের জন্য নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন”।

এর পাশাপাশি, প্রাক্তন সিপিআই ছাত্রনেতা তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা কানাইয়া কুমারের বক্তব্য, “সারাদেশে যখন একরকম ভাবে সেনাতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তখন অগ্নিপথ নামক নতুন প্রকল্প এর কার্যকারিতা কি”? কানাইয়া কুমারের বক্তব্য, অগ্নিপথ নিয়ে বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীরা সেলসম্যানের মতো আচরণ করছেন। বিজেপি নেতারা যেন কোনও এক স্টেশনের বাইরে ইঁদুর মারার কীটনাশক বেচছেন। কেউ বলছেন সেনারা কত লক্ষ টাকা পাবেন আবার কেউ বলছেন তারা কি সুবিধা পাবেন।

kanhaiya kumar

এর সাথে সাথেই অগ্নিপথ আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কানাইয়া কুমার বলেন, সারা বিহারে বেকারত্বের হার সারাদেশে বেকারত্বের হারের দ্বিগুণ। কাজের খোঁজে বহু যুবক ভিন রাজ্যে গিয়ে বসবাস করছেন। শুধু বর্তমান সরকার এই পরিস্থিতির জন্য যে দায়ী তা বলা চলে না।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর