অভিনয়ে পারদর্শী হলেও লেখাপড়ায় অষ্টরম্ভা! দাদুর বয়সে গ্র্যাজুয়েট হলেন এই বলি তারকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : টিনসেল নগরীতে (Bollywood) একটা পরিবারের রাজত্ব বহুকালের। আর তা হল কাপুর খানদান‌ (Kapoor Family)।‌ পৃথ্বীরাজ কাপুরের উত্তরাধিকারীরা সমৃদ্ধ করেছে হিন্দি তথা ভারতীয় সিনেমাকে (Indian Filmy)। তবে এই পরিবারের মানুষজন ফিল্মি দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করলেও লেখাপড়াটাকে বাঁচাতে পারেনি। কাপুর পরিবারের বিদ্যের দৌড় সত্যিই অবাক করে সকলকে।

আসলে কাপুর পরিবারের সদস্যদের সিংহভাগই কলেজের মুখই দেখেননি। কেউ ক্লাস সিক্স পাশ, কেউ ক্লাস টেন! উদাহরণস্বরূপ, করিনা, কারিশমা, রনবীর কাপুরের কথাই দেখুন। তবে অবশেষে ২০২৩ সালে প্রথম গ্র্যাজুয়েট সদস্য পেল কাপুর পরিবার। প্রথম স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে একপ্রকার রেকর্ডই গড়ে ফেলেছে এই সদস্য।

তবে তিনি কিন্তু আজকের প্রজন্মের কেউ নন। বরং তিনি হলেন, শাম্মি কাপুর ও গীতা বালির সন্তান আদিত্য রাজ কাপুর। সূত্রের খবর, আজ থেকে বছর খানেক আগেই পড়াশোনা শুরু করেছিলেন আদিত্য রাজ কাপুর‌। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশন্যাল ওপেন ইউনিভার্সিটিতে (IGNOU) অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বিএ ডিগ্রি লাভ করেছেন আদিত্য রাজ কাপুর‌।

আরও পড়ুন : ‘যে বাঙালি বাঘের মতো…’ এবারের দাদাগিরিতে বড় চমক! সুখবর শোনালেন সৌরভ, কবে হচ্ছে শুরু?

এই বিষয়ে প্রাক্তন অভিনেতা বলেন, ‘আমার কাছে পড়াশোনা করবার সবরকম সুযোগ ছিল, কিন্তু আমি তার সদ্বব্যবহার করিনি। বহু বছর পর নিজের ভুল বুঝতে পারি। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। যখন আমি অন্তরের শূন্যতা অনুভব করলাম, তখনই বুঝলাম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। তাই দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি’।

আরও পড়ুন : ৩০ বছর পর পর্দায় ফিরছে সঞ্জয় দত্তের কালজয়ী সিনেমার সিক্যুয়েল! বড় ঘোষণা সুভাস ঘাইয়ের

জানিয়ে রাখি, ৬১ বছর বয়স থেকে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন আদিত্য। আর তাকে ক্রমাগত অনুপ্রেরণা জানিয়ে গেছিলেন তার মেয়ে তুলসী। যদিও কোভিডের জেরে মাঝের কয়েকটা বছর তার নষ্ট হয়ে যায় তবে তিনি কোনোভাবেই হাল ছাড়েননি। দুই সপ্তাহ আগেই দর্শনে ৫৯% নম্বর পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন আদিত্য রাজ কাপুর। তবে এখানেই শেষ নয়। ইতিমধ্যেই মাস্টার্সের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সত্তরের দশকে সহকারী পরিচালক হিসাবে বলিউডে পদাপর্ণ করেন শাম্মি পুত্র। জেঠু রাজ কাপুরের ‘ববি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এরপর সাল ২০০৭-এ ‘ডোন্ট স্টপ ড্রিমিং’ বলে একটি ছবি পরিচালনা করেন তিনি। যদিও সেই সময় ছবিটি ব্যর্থ হয়। এরপর ১০১০ সালে তিনি কামব্যাক করেন অভিনেতা হিসেবে। তখন তার বয়স ছিল প্রায় ৫৩ বছর।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর