‘ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম নিয়ে এত সমস‍্যা থাকলে ছেড়ে দিয়ে অন‍্য কাজ করো’, ভাইরাল করনের ভিডিও

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন বলিউডের অন‍্যতম খ‍্যাতনামা পরিচালক তথা প্রযোজক করন জোহর (karan johar)। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত‍্যুর পর থেকেই নেপোটিজমের (nepotism) অভিযোগে করনের উপর চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ নেটজনতা। তাঁর আগামী ছবি সূর্যবংশী বয়কট করার ডাক দিয়ে সারাক্ষণ প্রচার চলছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়।
সুশান্তের মৃত‍্যুর জন‍্য এখনও নেটিজেনের একাংশ করন জোহরকেই দায়ী করছেন। প্রতিনিয়ত ট্রোলের সম্মুখীন হওয়ায় আগেই সোশ‍্যাল মিডিয়ায় নিজের সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র তাঁর চেনা পরিচিতরাই কমেন্ট করতে পারছেন তাঁর পোস্টে। পদে পদে সমালোচনা, ধিক্কারের সম্মুখীন হচ্ছেন করন।
সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও প্রকাশ‍্যে এসেছে যার জন‍্য নেটিজেনের দ্বিগুণ ধিক্কারের মুখে পড়েছেন পরিচালক। ভিডিওটি বেশ পুরনো, কিন্তু তা নতুন করে ভাইরাল হয়েছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে কঙ্গনা রানাওয়াতের উদ্দেশে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে করনকে। বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে সমস‍্যা থাকলে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে অন‍্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন করন।


ভিডিওতে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার উদ্দেশে করনকে বলতে দেখা যায়, “সবসময় তুমি নিজের দুঃখের কাহিনি বলে বেচারা সাজতে পারো না। এতই যদি ইন্ডাস্ট্রির খারাপ জগৎকে ভয় পাও তুমি তাহলে ছেড়ে দাও। তোমায় বন্দুক ঠেকিয়ে কে জোর করছে থাকতে? ছেড়ে দাও। অন‍্য কিছু করো। যে কাউকে এভাবে মাথায় তুললে এমনই হয়।” ব‍্যঙ্গাত্মক হাসির সঙ্গে করনকে কথাগুলো বলতে দেখা যায় ভিডিওতে। সেই সঙ্গে উপস্থিত জনতার মধ‍্যে শোনা যায় হাসির রোল।
ভিডিওটির ক‍্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘তার মানে কাজের জায়গায় দুর্ভোগের স্বীকার হলে সেটার বিরুদ্ধে সরব না হয়ে কাজই ছেড়ে দেওয়া উচিত? কাউকে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে বলার উনি কে?’ ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে নেটজনতা। করনের আগামী ছবি বয়কটের ডাকও ওঠে।

https://twitter.com/PRDMovieReviews/status/1284604724725989376?s=20

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জানা যায় ইনস্টাগ্রাম চুপিচুপি আরেকটি প্রাইভেট অ্যাকাউন্টও খুলেছেন করন। করনঅ্যাফেয়ার্স নামে ওই প্রাইভেট অ্যাকাউন্টটি ফলো করেন গৌরি খান, সুহানা খান, অনন‍্যা পাণ্ডে, শ্বেতা বচ্চন নন্দা সহ করনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব। বিষয়টি সম্ভবত প্রকাশ‍্যে আনতে চাননি করন। সে কারনেই এত লুকোছাপা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই প্রাইভেট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েই আবারও ট্রোলিং শুরু হয় পরিচালককে।
সম্প্রতি সেই অ্যাকাউনন্টটির আর কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না ইনস্টাগ্রামে। মনে করা হচ্ছে, ট্রোলের মুখে পড়েই তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছেন করন। বা হয়তো অন‍্য কোনও গোপন অ্যাকাউন্ট থেকে এখনও সোশ‍্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন তিনি। তবে সেই গোপন অ্যাকাউন্টের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

X