‘স্টার কিড’ এই নায়িকার পকেটে টান পড়ত স্কুল ফি দিতে গেলেই! আজ থাকেন ৮০০ কোটির বাড়িতে, চেনেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তারকা সন্তান বা স্টার কিড বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রঙিন এক জীবন। আমাদের সকলের ধারণা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সন্তানরা বিলাসবহুল ভাবে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠেন। এই কথা বহুক্ষেত্রে সঠিক হলেও, সর্বক্ষেত্রে সঠিক নয়। আমরা আজ যার সম্পর্কে বলছি, বলিউডের এক নামকরা পরিবারে জন্ম সেই অভিনেত্রীর।

তবে এই অভিনেত্রীর ছোটবেলা কেটেছে অত্যন্ত দারিদ্রতায়। অভিনেত্রীর বাবা একটা সময় দিতে পারতেন না স্কুলের ফি। এই বলি (Bollywood) অভিনেত্রী যাতায়াত করতেন লোকাল বাসে। তবে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আঘাত পেয়ে আজ তিনি সফল। বর্তমানে এই অভিনেত্রী থাকেন ৮০০ কোটি টাকার ফ্ল্যাটে।

আরোও পড়ুন : মাসে জমান ১০০০ টাকা, হাতে আসবে ৭২ হাজার!এই অবিশ্বাস্য HDFC’র প্ল্যান এখন রীতিমতো হট কেক

এবার নিশ্চই আপনাদের জানতে ইচ্ছা হচ্ছে আমরা কোন অভিনেত্রীর (Actress) কথা বলছি? আমরা আজ করিনা কাপুরের (Kareena Kapoor) কথা বলছি। নামটা শুনে চমকে গেলেন তো? স্বাভাবিক সেটাই। মুম্বাইয়ের ঐতিহ্যশালী কাপুর পরিবারের জন্য করিনার। তবে একটা সময় চরম দারিদ্রতা ভোগ করেছেন করিনা কাপুর।

আরোও পড়ুন : দার্জিলিং যাওয়ার প্ল্যান? বেরনোর আগে ভালো করে ভেবে নিন! দেখতে পাবেন না এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো

করিনা কাপুরের বাবা রনধীর কাপুর ‘দ্যা কাপিল শর্মা শো’ অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে চরম অভাব গ্রাস করে আশির দশকে। তিনি জানান যে দুই মেয়ের স্কুলের বেতন দেওয়ার অবস্থাও ছিল না তাঁর। একবার একটি সংবাদমাধ্যমকে করিনা জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর বোন করিশ্মা প্রাচুর্যের মধ্যে মানুষ হননি। তিনি ও বোন বাস-ট্রেনে করে স্কুল-কলেজে যেতেন।

wssw 2024 05 8d4ecfa701e0500e72ad9d88ff9d329e

 

করিনা কাপুরের বলিউডে ডেবিউ ২০০০ সালে। এরপর দ্রুত তিনি প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের সর্বাধিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। বিভিন্ন সূত্র দাবি করে, করিনা কাপুরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৮০ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি পতাওদি প্যালেসে থাকেন, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর