বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা করোনা (covid-19) সংক্রমণের মধ্যে এক বড় ঘোষণা করল কর্ণাটক (karnataka) সরকার। আজ থেকেই বন্ধ রাখা হচ্ছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন (vaccine) দেওয়ার প্রক্রিয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন না থাকার কারণেই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই একদিকে যেমন অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছিল দেশজুড়ে, তেমনই কিছু ভ্যাকসিন সংকটও প্রকট হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরও মিলছে না ভ্যাকসিন, খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মানুষজনকে। যার ফলে আরও বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ বছরের উর্দ্ধে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করলেও, ভ্যাকসিনের সংকটে তা আবারও বন্ধ রাখতে বাধ্য হল কর্ণাটক সরকার। এখনও বহু মানুষ আছেন যারা প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের আশায় হাসপাতালে গিয়েও ফিরে আসছেন। টান পড়েছে ভ্যাকসিনের ভাঁড়ারে।
এবিষয়ে কর্ণাটক স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানান, ‘আমাদের কাছে ভ্যাকসিন আছে এবং আমরা সকলকেই তা দিতে চাই। সকলকেই ভ্যাকসিন দেব। তবে ৪৫ বছরের উপরে যারা এখনও দ্বিতীয় ডোজ নিতে বাকি আছেন, তাঁদের আগে দেওয়া হবে। আর সেই জন্যই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে’।
কর্ণাটকের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, ‘আমরা এখন দ্বিতীয় ডজের উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের এখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই যারা টিকাকরণের জন্য স্লটও বুক করে রেখেছিলেন, ১৪ ই মে থেকে তাদেরকেও টিকা দেওয়া হবে না’।