বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার আগেই আরও এক কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (Manojit Mishra), এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ক্যালকাটা গার্লস বিটি কলেজের (Calcutta Girls BT College) অধ্যক্ষা মাকসুদা খাতুন। তিনি জানান, “ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ২৪ জুন মনোজিৎ ল কলেজের ছাত্র পরিচয়ে আমার কলেজের বাইরে এসে ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে ঢোকার চেষ্টা করেছিল।” শুধু তাই নয়, তিন-চার মাস আগেও মহিলা সঙ্গী নিয়ে সন্ধেবেলা ওই কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেছিল মনোজিৎ। গার্ড বাধা দেওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সে। অধ্যক্ষা স্পষ্টই বলছেন, “গার্ড যদি ভয়ে দরজা খুলে দিত, তাহলে আজ হয়তো আমাদের কলেজেও বড় ঘটনা ঘটত।”

পুরনো ক্যাম্পাসে বেআইনি আস্তানা চালাতেন?
প্রায় সাত বছর আগে ক্যালকাটা গার্লস বিটি কলেজের পুরনো বিল্ডিংয়েই চলত ল কলেজের ক্লাস। সেই সময় থেকেই মনোজিৎ এবং তার সহযোগীরা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ঘরে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালাত বলে অভিযোগ অধ্যক্ষার। তিনি জানান, “কী বোতল, কী গন্ধ, কী ভাষা ব্যবহার করত, বলতে পারছি না। ইউনিয়ন ঘর ছিল ওদের বেপরোয়া দখলে।” মনোজিতের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ থাকলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই মনে করছেন অধ্যক্ষা। তার দাবি, ওই সময়েও তিনি দেখেছেন প্রয়াত অধ্যক্ষ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়া করত মনোজিৎ।

সিসিটিভি ভাঙত, মুখ ঢাকত কাপড়ে! এত সাহস এল কোথা থেকে?
অভিযোগ আরও গুরুতর। অধ্যক্ষার কথায়, “মুখে কালো কাপড় বেঁধে কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে মনোজিৎ। সম্পূর্ণ গুণ্ডাগিরি চলত।” প্রশ্ন উঠেছে, কে বা কারা এই অভিযুক্তকে এতদিন ধরে প্রশ্রয় দিচ্ছিল? কে তাকে রক্ষা করছিল? একজন কলেজ অধ্যক্ষের প্রকাশ্য এমন বিস্ফোরক মন্তব্য কসবা গণধর্ষণ মামলা ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিল। তদন্তে এই তথ্যগুলোও যে গুরুত্ব পাবে, তা বলাই বাহুল্য।