বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল কলেজ (Kasba Law College) গণধর্ষণকাণ্ডে এবার তদন্তের মুখে পড়লেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের(TMCP) সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগ, অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে (Manojit মিশ্র) আড়াল করার পিছনে মূল ভূমিকা তাঁরই। শুধু রাজনৈতিক পরিচিতিই নয়, এবার সার্থকের বিপুল সম্পত্তি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে ছবি, তথ্যপ্রমাণসহ এই নেতা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরেছে বিজেপি (BJP)।

মনোজিৎকে আড়াল? বিজেপির দাবি ঘিরে বিতর্ক
তদন্তের জালে ধরা পড়া মনোজিৎ মিশ্র কসবাকাণ্ডের (Kasba Law College) মূল অভিযুক্ত। বিজেপির অভিযোগ, তাঁকে আড়াল করতে জোর কদমে নেমেছেন সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন, আশুতোষ কলেজের ‘হেড ক্লার্ক’ পদেও কর্মরত। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর কলেজ চত্বরে একাধিপত্য, অধ্যক্ষের পাশে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়া, এবং ছাত্র রাজনীতির দাপট—সব মিলিয়ে তাঁর প্রভাব বহুদূর বিস্তৃত। এই অবস্থান থেকেই নাকি মনোজিৎকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
প্রভাব, সম্পত্তি ও বিতর্কের ঘূর্ণি
সাধারণ একজন বেতনভোগী কর্মী হয়েও সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে, তা নিয়ে বিস্ময়ে বিস্ফোরিত বিজেপি। দাবি অনুযায়ী—কালীঘাটে নিজের ও বাবা-মায়ের নামে একাধিক সম্পত্তি, যাদবপুরে নিজের নামে দু’টি ফ্ল্যাট ও গ্যারাজ, আমতলা ও উদয়শঙ্কর সরণিতেও আরও ফ্ল্যাট। বিজেপির প্রশ্ন, একজন ‘হেড ক্লার্ক’-এর এত (property assets), এই অর্থের উৎস কী?
বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য
এক্স হ্যান্ডেলে একটি (video) পোস্টে ছবিসহ তথ্য দিয়ে এই সার্থকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, এমন ‘দানব’ তৈরি হয় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়, প্রশাসনিক প্রশ্রয়ে। শুধু মনোজিৎ নয়, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও এই ব্যবস্থার ফল। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড়—অনেকের প্রশ্ন, এতদিন এই ‘গোপন সাম্রাজ্য’ ছিল কার প্রশ্রয়ে?
আরও পড়ুনঃ ৯টা ৫০-এ ইন আর ৯টা ৫০-এই আউট, কসবা ল কলেজে ভাইস প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে নতুন রহস্য
সার্থকের বিরুদ্ধে সম্পত্তির তদন্তের দাবি ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, কসবাকাণ্ডে (Kasba Law College) তাঁর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা নিয়েও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছেন বিরোধী নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে, আশুতোষ কলেজের প্রশাসন এতদিন কী করছিল? এবং কেবলমাত্র ‘গরিবের দলের’ পরিচয়ে একজন কর্মচারী কীভাবে এমন অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন?