Ekchokho.com 🇮🇳

কসবাকাণ্ডের জের! সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজ নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ, মাথায় হাত পড়ুয়াদের

Published on:

Kasba law college closed until further notice after kasba incident

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কসবাকাণ্ডের জেরে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। তারমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা ল’ কলেজ (Kasba Law College ) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল গভর্নিং বডি। ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে, এই কলেজেরই এক ছাত্রীকে কলেজের মধ্যেই গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার পর থেকেই তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা।

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো কসবা ল কলেজ (Kasba Law College)

কসবাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ও শহরতলীয় অঞ্চল। কসবা ‘ল’ কলেজের ঘটনার পর থেকে একদিকে যেমন বিরোধীরা আন্দোলন করছে, তেমনই আইন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রাক্তনেরাও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাউথ ক্যালকাটা ‘ল’ কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কসবা ‘ল’ কলেজের ধর্ষণের প্রতিবাদ জারি রয়েছে। এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের সামনে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থল অর্থাৎ কলেজের ইউনিয়ন রুম ও নিরাপত্তারক্ষীর ঘরের দিকেও কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।  এই ঘটনার পর থেকেই কলেজের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের একটি দাবি- ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় অপরাধীতে অবিলম্বে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তাও। এছাড়াও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে কলেজে জমায়েত করেছেন সোমবার। পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্যের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি তারা উপাচার্যকে দেওয়ার জন্য একটি ডেপুটেশন তৈরি করেছেন।

গত শুক্রবার সকাল থেকেই কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় তাকে কলেজে ডেকে তার ওপর চড়াও হয় তিনজন। এমনকি গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও নির্যাতিতা যাতে কাউকে কিছু না বলে সেই বিষয়েও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । যদিও পড়ে ঐ ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Kasba law college, kasba incident , west bengal, Kolkata, kolkata news, kolkata police , Gang rape, kolkata Crime,Kasba Rape Case

আরও পড়ুন:সংসারে অভাব, খিদের জ্বালায় কাঁদছে সন্তান, তিস্তায় সন্তানকে ভাসাতে গেলেন মা

এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে, লালবাজার সূত্রে জানিয়েছে – ঘটনা তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের পাঁচজনে সদস্য কাজ শুরু করেছে। এমনকি এই সিটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এই ঘটনা তদন্ত করছে নয় জনের সিট সদস্য। পাশাপাশি নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা গুলিকে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠানো হয়েছে।