বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা ল’ কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় যাঁর নাম উঠে এসেছে, সেই মনোজিৎ মিশ্র (Monojit mishra) সম্পর্কে বহু আগেই সতর্ক করেছিলেন কলেজের তৎকালীন উপাচার্য। ২০১৮ সালে একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁর ‘অসামাজিক আচরণ’ দেখে উপাচার্য দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় সরাসরি পুলিশের কাছে লিখিত অনুরোধ জানান। চিঠি পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (হেডকোয়ার্টার)-এর কাছে। তবে সেই সতর্কবার্তার কোনও ফল মেলেনি, এমনটাই অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের।

চিঠিতে লেখা হয়, ১৩ ডিসেম্বর কলেজের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বড় গন্ডগোল বাঁধাতে পারে মনোজিৎ। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই এমন আশঙ্কা ছিল উপাচার্যের। সেই কারণেই ওই অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ প্রোটেকশন চাওয়া হয়েছিল। এমনকী উল্লেখ করা হয়, কলেজের অতীত বেশ কিছু প্রোগ্রামেও মনোজিতের ব্যবহার নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে সেই চিঠি
সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের অন্দরেই ঘটে যাওয়া ছাত্রী ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্ত এখন অনেকটাই গতি পেয়েছে। লালবাজারে পাঠানো সেই চিঠি এবার মূল নথি হিসেবে ধরে এগোচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রশ্ন— যদি সেই সময়ই মনোজিৎকে নিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিত, তা হলে কি আজকের ভয়ঙ্কর ঘটনাটি এড়ানো যেত?
মনোজিতের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ
শুধু ধর্ষণ নয়, একাধিক সহপাঠীকে মারধর, ব্লেড মারার মতো অভিযোগও রয়েছে মনোজিতের নামে। এমনকি একাধিক বার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও কলেজ প্রশাসন বা পুলিশের তরফে কোনও দৃশ্যমান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক, সেই মানুষটাই কিনা…! এবার মুখ খুললেন কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের প্রেমিকা

কলেজ খুলছে সোমবার, কড়া নিরাপত্তায় ক্লাস
২৫ জুনের ঘটনার পর বন্ধ ছিল কলেজ। ৭ জুলাই থেকে ফের চালু হচ্ছে ক্লাস। তবে এবার থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ। কড়া নিরাপত্তা, পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক, বন্ধ থাকছে গার্ডরুম-ইউনিয়ন রুম— সব মিলিয়ে কড়া নজরদারিতেই চলবে পড়াশোনা।