Ekchokho.com 🇮🇳

কসবার ধর্ষণ ভিডিও দেখতেই নেটপাড়ায় হুড়োহুড়ি! গুগল ট্রেন্ডে উঠে এল ভয়ংকর কিওয়ার্ড

Published on:

Published on:

Sex video search on google after Kasba case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার কসবা ল’ কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রীকে ঘিরে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের (Gangrape) ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। কিন্তু নিন্দার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে এক ভয়ানক প্রবণতা। সেই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও দেখার জন্য গুগলে (Google) চলছে হিড়িক। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিও খুঁজে পেতে ‘rape porn’, ‘Kolkata gangrape porn’, ‘law student rape video’-র মতো কিওয়ার্ড ট্রেন্ড করছে গুগলে।

গুগল ট্রেন্ডে ‘rape porn’, ‘Kolkata MMS’!

সম্প্রতি পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গুগলে কিছু নির্দিষ্ট শব্দ একেবারে ‘বিস্ফোরক’ হারে সার্চ হচ্ছে। ‘Kolkata rape MMS’, ‘Kolkata rape video’, ‘Kolkata rape porn’, এমনকি ‘Kolkata law student rape’—এই কিওয়ার্ডগুলি গুগলে ট্রেন্ড করছে। ৩০ জুন একটি পর্ন সাইটে “Kolkata law student” নামে একটি ভিডিও আপলোডও করা হয়েছে বলে জানায় ওই রিপোর্ট। যদিও তার সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি।

টেলিগ্রামেও ছড়াচ্ছে ক্লিকবেট ভিডিও!

টেলিগ্রাম অ্যাপের বহু বাঙালি চ্যানেলে ক্লিকবেট দিয়ে ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভিডিও দেখার জন্য নেটিজেনদের মোহ এতটাই যে টেলিগ্রামেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অনেকে। পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপের খবর মেলেনি, তবে সাইবার ক্রাইম শাখা নজরে রেখেছে এমন ইঙ্গিত মিলেছে।

নারী বিদ্বেষের ফ্যান্টাসি? ভয় ধরাচ্ছে মনোবিদদের মন্তব্য

এই প্রবণতা নতুন নয়। ২০১২ সালের দিল্লি নির্ভয়া কাণ্ড হোক বা গত বছর আরজিকরের ধর্ষণ-খুন, এমন নৃশংস ঘটনার পর পর্নসাইটে ভিডিও খোঁজার প্রবণতা আগেও দেখা গিয়েছে। মনোবিদদের মতে, এই কনটেন্ট যারা দেখে তারা শুধু যৌন উত্তেজনার জন্য নয়, অনেক সময় নারী বিদ্বেষ থেকেই দেখে। দিল্লির চিকিৎসক ডা. খুশি কে গুন্দ বলেন, “এই মনোভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ এতে ধর্ষণকে ফ্যান্টাসির মতো করে দেখছে অনেকেই।”

আরও পড়ুনঃ বিয়ের চাপে “অতিষ্ঠ”, প্রেমিকাকে খুন যুবকের! পুলিশ “অ্যাকশন” নিতেই যা হল…..

Sex video search on google after Kasba case

সাইবার অপরাধে যুক্ত অপরাধীদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কনটেন্ট শেয়ার ও সার্চ শুধু নৈতিকভাবে অপরাধ নয়, আইনি দিক থেকেও কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগ। ইতিমধ্যেই কিছু পর্নসাইট ও টেলিগ্রাম চ্যানেল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এমন ভয়ঙ্কর সামাজিক প্রবণতা ঘিরে উদ্বিগ্ন সকলেই।