Ekchokho.com 🇮🇳

৯টা ৫০-এ ইন আর ৯টা ৫০-এই আউট, কসবা ল কলেজে ভাইস প্রিন্সিপালের উপস্থিতি নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে নতুন রহস্য

Updated on:

Updated on:

Kasba Law College register raises serious timeline doubts

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার বিতর্কিত কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনায় নতুন করে উঠে আসছে ভাইস প্রিন্সিপালের নাম। কারণ, রেজিস্টারে দেখা যাচ্ছে, ২৫ জুন সকাল ৯টা ৫০-এ তিনি কলেজে ঢোকেন এবং একই সময়েই নথিভুক্ত আছে ‘আউট টাইম’। কিন্তু সেখানে লেখা নেই ‘AM’ বা ‘PM’—এমনকি অন্য দিনগুলিতেও নেই সময়চিহ্ন। এই অসংগতির মাঝেই প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার সময় তিনি কলেজে ছিলেন কি না।

আউটটাইম ঘিরে বিভ্রান্তি, রেজিস্টার কাটাকুটিতেই স্পষ্ট সন্দেহ

ভিকটিমের অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার সময় ছিল সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। ভাইস প্রিন্সিপাল (Vice Principal) নিজেই বলেছেন, তিনি বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলেজে ছিলেন। কিন্তু কখন বেরোলেন, তার কোনও নির্দিষ্ট নথি নেই। পরের দিন অর্থাৎ ২৬ জুন ইনটাইমে প্রথমে লেখা হয় সকাল ৯টা ৩০, পরে কেটে লেখা হয় ১০টা ১৫। আউটটাইমে লেখা হয় রাত ৮টা ৩০ (PM) কিন্তু পরে তা কেটে লেখা হয় ‘Half Day’। এমন কাটাকুটি এই রেজিস্টারকে আরও অস্বচ্ছ করে তুলছে।

সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে চুপ? প্রশ্ন উঠছে দায়িত্ব নিয়ে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কলেজের সিসিটিভি ফুটেজের নিয়ন্ত্রণ থাকে ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে। তিনি ২৬ জুন কলেজে এসেছিলেন, তাহলে ২৫ জুনের ফুটেজ কেন পরীক্ষা করলেন না, এই প্রশ্ন উঠছে। তাঁর দাবি, ২৭ জুন এক নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে ঘটনাটি শোনেন। অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কলেজের (Kasba Law College) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা এই ব্যক্তি ধর্ষণকাণ্ডের কোনও খবর জানতেন না, এমনটা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।

রেজিস্টারে সময় লেখা থাকলেও, তার পাশে AM বা PM-এর উল্লেখ না থাকায় ধোঁয়াশা আরও ঘনীভূত। ১ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত কোনও দিনই এই সময়চিহ্ন লেখা হয়নি। একমাত্র ২৬ জুন ছিল PM লেখা, সেটাও পরে কেটে ‘Half Day’ করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন—এই সময়চিহ্ন না থাকা কি ইচ্ছাকৃত? না কি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা?

Kasba Law College register raises serious timeline doubts

আরও পড়ুনঃ বদলাবে রাজ্যের ভোট চিত্র! বড় ঘোষণা করলো সুপ্রিম কোর্ট

প্রশাসন চুপ, সন্দেহের কেন্দ্রে কলেজের (Kasba Law College) রেকর্ড

যে কলেজে ঘটল রাজ্য কাঁপানো যৌন নির্যাতনের ঘটনা, সেই কলেজের রেজিস্টারে এমন অসংগতি প্রশাসনিক দায়িত্ব নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে। শুধুই ভাইস প্রিন্সিপালের বক্তব্য নয়, তাঁর নীরবতা, অনাগ্রহ এবং অদ্ভুত সময়ের রেকর্ড এই মামলাকে আরও জটিল করে তুলছে।