বাংলাহান্ট ডেস্ক : খাস কলকাতার বুকে আবারও এক গণধর্ষণের ঘটনা। আরজিকর কাণ্ডের এক বছরের মধ্যেই কসবা ল কলেজের (Kasba Law College) ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ গোটা শহর। একটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজের মধ্যেই গণধর্ষিতা হলেন ওই কলেজেরই প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মূল অভিযোগের তীর যাঁর দিকে, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা, কলেজের অস্থায়ী কর্মী। অভিযুক্ত অন্য দুজন ওই কলেজেরই পড়ুয়া।
পুলিশের অভিযোগপত্রে ঘটনার বর্ণনা কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) নির্যাতিতার
গত বুধবার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল যাতে কোনো কথা বাইরে না যায়। কিন্তু তিনি কসবা (Kasba Law College) থানায় অভিযোগ করায় গ্রেফতার হন তিন জন। কী ঘটেছিল সেদিন তাঁর সঙ্গে? নির্যাতনের হাড়হিম করা ঘটনাবলী পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা।
কী অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা: যাঁরা অভিযুক্ত সকলেই তাঁর চেনা পরিচিত। কেউ কলেজের (Kasba Law College) প্রাক্তনী, কেউ কেউ আবার তাঁর মতোই পড়ুয়া। অথচ তাঁদের হাতেই এত বড় অন্যায়ের শিকার হতে হল তাঁকে! নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে যখন নির্যাতন করা শুরু হয় তখন তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : ফর্ম ফিলাপে গিয়ে নিজের কলেজেই ধর্ষণের শিকার! বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল নির্যাতিতার সঙ্গে?
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ: নির্যাতিতার অভিযোগ, তখন অন্যতম অভিযুক্ত ‘J’ অন্য দুজনকে ঘরের মধ্যে ডাকেন। তাঁদের কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন নির্যাতিতা, অনুরোধ করেছিলেন রুবি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু মন গলেনি অভিযুক্তদের (Kasba Law College)। তখন তিনি বাধ্য হয়ে বলেন, অন্তত একটা ইনহেলার তাঁকে এনে দিতে। ইনহেলার নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে বাড়ি যেতে চান নির্যাতিতা। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেন, কলেজের মেন গেটে তালা দেওয়া রয়েছে। তারপরেই তাঁর উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন : বাড়িতে অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ! মাত্র ৪১-এ প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি
ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন TMCP নেতা ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন কলেজের দুই পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জেব আহমেদ। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারায় তদন্ত চেয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।