বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা কাণ্ডে (Kasba Rape Incident) সরগরম বাংলা। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজের চার দেওয়ালের মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Kolkata Police)। এদিন সংশ্লিষ্ট কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। এবার এই গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে সিট (SIT) গঠন করল কলকাতা পুলিশ।
কসবা কাণ্ডে (Kasba Rape Incident) তৎপর তদন্তকারীরা
কসবা কাণ্ডে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপ কুমার ঘোষাল। ইতিমধ্যেই সিটের তরফ থেকে নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর মা-বাবার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই শিরোনামে রয়েছে কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড। ইতিমধ্যেই নারকীয় ঘটনার সেই বিবরণ প্রকাশ্যে এসেছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় মারধরের চিহ্ন, গলায় কামড়ের দাগ, যৌনাঙ্গে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোন সময়ের বকেয়া DA দিতে তৈরি রাজ্য? এবার পরিষ্কার জানিয়ে দিল সরকার
কলেজ চত্বরে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও (Bratya Basu)। শুক্রবার একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যথিত, আমি হতবাক। কলেজ চত্বরে এই প্রকারের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না’। এই ঘটনার পর গভর্নিং বডির জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার সেই বৈঠক হবে বলে খবর। সেই সঙ্গেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন ব্রাত্য।
এছাড়া কলেজ চত্বরের মধ্যে এই রকম গাফিলতি কীভাবে ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করার বিষয়টিও আলোচনা করতে বলা হয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে আইনজীবীদের একাংশ আবার এই ঘটনায় (Kasba Rape Incident) সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে কী হয় সেদিকেও নজর থাকবে।