বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার ল’কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ (Kasba Rape Incident)। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সামনে এসেছে ঘটনার হাড়হিম করা বিবরণ। এবার নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও (Medical Report) ধর্ষণের (Rape) প্রমাণ মিলল। স্পষ্ট হয়ে গেল তাঁর উপর হওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা।
কসবা কাণ্ডের নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে কী উঠে এল?- (Kasba Rape Incident)
আগেই জানা গিয়েছিল, ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকদের কথায়, পুলিশ যখন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে নিয়ে এসেছিল, সেই সময় তাঁর গলায় কামড়ের চিহ্ন ছিল। তাঁর যৌনাঙ্গেও ক্ষত মিলেছে। এছাড়া শরীরের একাধিক জায়গায় মারধরের দাগ ছিল উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার থেকে বিররণ নেওয়ার সময় চিকিৎসকদের কাছে তরুণী জানান, তাঁকে বলপূর্বক আটকে রাখা হয়েছিল। একজন ধর্ষণ করেছিল, বাকি দু’জন দাঁড়িয়ে ছিল।
আরও পড়ুনঃ ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে আবেদন শুরু, কতদিন চলবে? রাজ্যের কোন পড়ুয়ারা পাবেন? রইল সব তথ্য
পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রেও নারকীয় ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন নির্যাতিতা। তিনি জানান, নির্যাতন শুরু হওয়ার পর তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। অভিযুক্তদের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে কর্ণপাত করেননি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।
পরে এক অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ইনহেলার এনে দেন। এতে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। কিন্তু এরপর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
গত বছর আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার এক বছরের মধ্যেই কসবা কাণ্ড (Kasba Rape Incicent)। সরকারি হাসপাতালের পর এবার সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ। এই ঘটনার পর ফের একবার শহর কলকাতায় নারী নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে উঠে এসেছে। ঘটনার বীভৎসতা স্তম্ভিত করেছে অনেককে।