বাংলা হান্ট ডেস্ক: পেহেলগাঁও ঘটনার কেটে গেছে তিন তিনটি মাস। তবুও সেই স্মৃতি আজও তাজা। পেহেলগাঁও ঘটনার আতঙ্কে এতদিন কাশ্মীরে (Kashmir) যেতে ভয় পাচ্ছিলেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষেরা। তবে হাতে গুনে আর কয়েকটা দিন তারপরই পুজো। এই পুজোর সময় সকলেই কমবেশি কোথাও না কোথাও ঘুরতে যায়। তবে পেহেলগাঁও ঘটনার পর এবার পুজোয় কাশ্মীর যেতে চাইছেন অনেকেই।
তাই পুজোর ভ্রমণের তালিকায় অনেকটাই ওপরে রয়েছে কাশ্মীর (Kashmir)। এর পাশাপাশি পুরী (Puri), দার্জিলিংয়ের (Darjelling) যাওয়ার জন্য লাইন পড়ছে। তবে পুজোর সময় ঘুরতে যাওয়ার রেলের টিকিট কাটাতে গিয়ে চরম আকাল দেখা দিল। কারণ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চমী দিনের ট্রেনের টিকিট বুকিং। আর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। সারারাত লাইনে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ পাইনি কাশ্মীরে যাওয়ার টিকিট।
ভয়কে উপেক্ষা করে পুজোয় ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা যাচ্ছেন কাশ্মীর (Kashmir)
তিন মাস আগে ঘটে যাওয়া পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ। তবে সেই ভয় কিছুটা কাটিয়ে উঠিয়েছেন সাধারন মানুষ। তাই পুজোর সময় যেতে চাইছেন কাশ্মীর। কিন্তু তাতেই বিপত্তি! পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলসুত্রের তরফ থেকে জানা গেছে, জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস-এ এসি ফাস্ট ও সেকেন্ড ক্লাসের সব টিকিট শেষ। এখন শুরু হয়েছে ওয়েটিং লিস্ট। এসি থ্রি লিস্টে রয়েছে ২১৫ টি ও স্লিপার লিস্ট রয়েছে২০৭। পাশাপাশি হিমগিরি এক্সপ্রেস-এক অবস্থা। কোন ট্রেনেই এসি ফার্স্ট ক্লাসে কোনও টিকিট নেই।
কাশ্মীরে (Kashmir) ট্রেনগুলোর পাশাপাশি ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না পুরি (Puri) কিংবা দার্জিলিং (Darjelling) যাওয়ার জন্য। পুরী এক্সপ্রেস ও জগন্নাথ এক্সপ্রেস-এর সমস্ত শ্রেণিতে টিকিট নেই। তবে বন্দে ভারত (পুরী) এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ২২ জন ও চেয়ারকারে ৪২ জন ওয়েটিংয়ে রয়েছে আপাতত। এমনকি দার্জিলিংগামী ট্রেনগুলির অবস্থাও প্রায় একই। দার্জিলিং মেল, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, এসব ট্রেনের সব শ্রেণির টিকিট নেই বললেই চলে।
এই ঘটনার পর, পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিপ কমার্শিয়াল ম্যানেজার উদয় সংকর যা বলেন, পেহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর মানুষ কাশ্মীরে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর নিরাপত্তার পরে মানুষ আবার কাশ্মীর যেতে চাইছেন। তবে পাহাড় হোক বা সমুদ্র পুজোর আগে এখন ঘুরতে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পাওয়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।