বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনের পর দিন উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। কাশ্মীরের একাধিক প্রান্ত থেকে উঠে আসা খুনের ঘটনায় বর্তমানে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিকে দিকে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছে মানুষ আর এর মাঝেই 48 ঘণ্টার মধ্যে অপর এক হিন্দু কর্মচারীর হত্যার ঘটনায় বর্তমানে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তারা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কাশ্মীরের হিন্দু এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের মামলা প্রায়শই ঘটে চলেছে। এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। যদিও গতকাল এই প্রসঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তা সত্ত্বেও এদিন দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় পুনরায় এক হিন্দু কর্মচারীকে খুন করা হয় আর এরপরই পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে বলে খবর। বর্তমানে কাশ্মীরের নবযুগ টানেলের কাছে জড়ো হতে শুরু করেছে একাধিক মানুষ। বলে রাখা ভালো, বর্তমানে 1800 কাশ্মীরি পণ্ডিত সহ প্রায় তিন হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মচারী কাশ্মীর ছেড়েছেন।
বর্তমানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলার ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাদের চারপাশে সর্বদা পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তবে সরকারের এ সকল পরিকল্পনা সত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না হামলার ঘটনা! এদিন খুনের ঘটনা সামনে আসায় সেই আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এক মহিলার করুণ আর্তির ভিডিও ভাইরাল হয়ে চলেছে। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে এখানে বাস করে চলেছি, কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাই আমরা সকলে মিলে উপত্যকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এখানে আর থাকা সম্ভব নয়।” অপর এক ব্যক্তির কথায়, “আমরা আমাদের আন্দোলন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করেছি। প্রতিদিন যেভাবে একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছে, তা কাম্য নয়। সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, এরপর এলাকা ছেড়ে পালানো ব্যতীত কোনো উপায় নেই আমাদের কাছে।”
প্রসঙ্গত, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক কাশ্মীরি পণ্ডিত এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মোট 1800 জন কাশ্মীরি পণ্ডিত এলাকা ছেড়ে জম্মুতে পালিয়ে গিয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে একাধিক সরকারি কর্মচারী। বর্তমানে সেখানেই তারা আন্দোলন চালাবে বলে জানা গিয়েছে।