বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বুধবার উত্তর 24 পরগনার খড়িবাড়ি থেকে দুজনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেই দুজনের মধ্যে আহসন উল্লাহ আরামবাগের সামতা গ্রামের কাজি পাড়ার বাসিন্দা। এলাকায় ভালো ছেলে বলে পরিচিত আহসন এর গ্রেফতারির পর রীতিমতো অবাক তার আত্মীয় থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ।
কাজি আহসান উল্লাহ পড়াশোনা করেছেন বাইরে থেকে। পড়াশোনা শেষ করে কলকাতা ও হাওড়া অঞ্চলে কর্মক্ষেত্র শুরু করেন তিনি। এরপর বিয়ে করেন। নিজের দেশের বাড়ি আরামবাগের সামতা গ্রামে খুব কমই যাতায়াত ছিল কাজি আহসান উল্লাহর।সামতা গ্রামটি আরামবাগ শহর থেকে প্রায় 18 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামেরই একদম শেষ প্রান্তে একটি বন্য এলাকায় ছোট্ট পাকা বাড়িতে একাই থাকেন আহসান এর মা ফরিদা বিবি।আহসান এর বাবা কাজি সফিউল্লাহ কর্মসূত্রে বর্তমানে বর্ধমানে।কাজি আহসান উল্লাহর আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের পর রীতিমতো হইচই শুরু হয় আরামবাগে। ছোট থেকেই ভালো ও শান্ত ছেলে হিসাবে পরিচিত কাজি আহসান উল্লাহর এই রূপ অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।
ধৃত আহসান এর কাকা ফইজুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই গ্রামে ও ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। তারপর মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। উৎসবের দিনে গ্রামে আসতো। কিন্তু বাইরে ও কি করে তা আমরা জানিনা।
গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারাও জানান, উৎসব- পরবের দিনে মাঝেমধ্যে গ্রামে আসতো সে। গ্রামের লোকেদের সাথে খুব একটা মেলামেশা ছিল না তার। মাঝেমধ্যে বাজারে ঘোরাঘুরি করে আবার বাড়ি ফিরে যেত।
জঙ্গি সন্দেহে ছেলের গ্রেফতারের পরই হতভম্ব আহসান উল্লাহর মা ফরিদা বিবি। তিনি বলেছেন, বিয়ের পর সে নিজের মতই থাকতো। তার সাথে খুব একটা যোগাযোগ ছিল না। কিভাবে ও জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ল সেই বিষয় কিছুই জানেন না তারা।
আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি আহসান উল্লাহর জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারি নিয়ে অবাক গ্রামবাসীরাও। আপাত দৃষ্টিতে ভালো ছেলেটি কিভাবে এমন ধরনের সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ল তা বুঝতে পারছেন না তারা। তবে অভিযোগ সত্যি হলে আহসান উল্লাহর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।