বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা ও সাহিত্যে পদ্মশ্রী (Padma Shri) পুরস্কার পেলেন যাদবপুর কাটজুনগর স্বর্ণময়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী মাসুম আখতার (Kazi Masum Akhtar)। ওনার নামটা হয়ত অনেকেই শুনেছেন। এবং ওনার সঙ্গে কী ঘটেছিল, তাও হয়ত অনেকেরই জানা। তবুও একবার ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য বলে দিই। ২০১৫ সালে শুধুমাত্র জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর জন্য প্রায় খুন হয়ে যাচ্ছিলেন এই শিক্ষক।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ খাস কলকাতার মেটিয়াবুরুজের একটি সরকারি মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ছিলেন কাজী মাসুম আখতার। সেই সময় তিনি ওই মাদ্রাসার প্রার্থনাসভায় পড়ুয়াদের জাতীয় সংগীত গাইয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছিল মৌলবাদীরা। কোনও ক্রমে সেবারের মতো বেঁচে যান তিনি।
বাল্যবিবাহ বন্ধের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন কাজী মাসুম আখতার। পাশাপাশি তিনি তিন তালাকের মতো কুপ্রথার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টেও ছুটেছিলেন। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলমও ধরেছিলেন এই সাহসী শিক্ষক। একাধিকবার তাঁকে হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল। তবে তিনি দমে যান নি। শিক্ষা, সাহিত্য এবং সমাজের প্রতি বিশেষ অবদান রাখার কারণেই এবার কেন্দ্র ওনাকে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে ভূষিত করল।
President Kovind Padma Shri to Shri Kazi Masum Akhtar for Literature & Education. He is an educator, commentator, columnist and a crusader for social causes. He is known for his contribution towards eradication of superstitious customs and uplifting the underprivileged people. pic.twitter.com/fIHu7Kl8S9
— President of India (@rashtrapatibhvn) November 8, 2021
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছেন, যারা নীরবেই দেশের উন্নতি করে চলেছেন। অনেক সময় এমনও হয় তাঁরা প্রচারের আলোতেই আসতে পারেন না, থেকে যান কোনও গ্রামের গলিতে। আবার অনেক সময় তাঁদের এই নিঃস্বার্থ অবদানের জন্যই তাঁরা পেয়ে যান দেশের সর্বোচ্চ সম্মান। সম্প্রতি এমনই এক ব্যক্তি উঠে এসেছেন দেশের নাগরিক সম্মান অর্থাৎ পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায়। এমনকি সোমবার দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে নিলেন পুরস্কারও।
কর্ণাটকের হোনালি গ্রামের বাসিন্দা তুলসী গৌড়া ৩ লাখেরও বেশি চারাগাছ রোপণ করেছেন এবং বন বিভাগের নার্সারির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এই মহান পরিবেশবিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তাঁকে অভিনন্দনও জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ট্র্যাডিশনাল পোশাকে খালি পায়েই পদ্মশ্রী পুরস্কার নিতে দেখা গেল তাঁকে। আবার পুরস্কার নিতে যাওয়ার সময় সামনে থাকা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে জোর হাত করে প্রণামও করলেন তিনি।