বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত তখন পথ দেখাচ্ছেন ভারতের (india) কেরলের (kerala) স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা ( k k shailaja)৷ আর বিশ্ব মহামারি নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য ভূমিকার জন্য তাকে কুর্নিশ জানাল বিশ্ব। বিশ্ব জনসেবা দিবসে তাকে পুরষ্কৃত করল রাষ্ট্রসংঘ। পাশাপাশি, রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক স্তরে কোভিড লড়াই নিয়ে প্যানেলে বক্তব্যও রাখেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেশ নিয়েছেন মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরাও। তিনি রাষ্ট্রসংঘের পুরষ্কার পাওয়ার পর নেট পাড়ায় কার্যত প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছে। টুইটারে তাঁকে “ভারতের নতুন মুখ” কিংবা “কেরলের গর্ব” বলে অভিহিত করছেন নেটিজেনরা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে লকডাউনের সময় কেরল সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। পরবর্তীকালে যা ‘কেরল মডেল’ হিসাবে বিখ্যাত হয়। দেখে নিন কি কৌশলে করোনাকে মাত দিয়েছিল কেরল
• অতি দ্রুত নীতি নির্ধারণ এবং সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা।
• আক্রান্তদের গণনা ও সংক্রামিত রোগীদের পূর্ববর্তী গতিবিধি নির্ধারণ করে যারা সংক্রামিত হতে পারে তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া
• কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে ২৮ দিন নজরবন্দি ও চিকিৎসাধীন রাখা। পাশাপাশি সেখানে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন্যাপনের সুবিধা প্রদান।
• গুজব আর ভুয়ো তথ্য আটকে সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য GOKdirect অ্যাপ প্রচলন।
• স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি ও মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য আঞ্চলিক কিয়ক্স গঠন করা।
• গৃহবন্দী মানুষদের কাজ ও বিনোদনের জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়তি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান।
বলাবাহুল্য, এই কেরল মডেলের সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তারই সম্মান স্বরূপ ২৩ জুন জনসেবা দিবসে এই বিরল সম্মানের অধিকারী হলেন বামশাসিত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।