বাংলা হান্ট ডেস্ক : চরম বিপাকে কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে অনিয়মের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) জেরা শুরু করছে পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) প্রাইভেট সেক্রেটারি সিএম রবীন্দ্রনকে। রাজ্য সরকারের কল্যাণ প্রকল্প লাইফ মিশনের জন্য পাওয়া বিদেশি অনুদানের অর্থ তছরুপ এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাইয়ের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত এই রবীন্দ্রনের নাম সোনা পাচার মামলাতেও আছে। তিরুবনন্তপুরমের সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে সোনা পাচারের মামলায় মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরই সিবিআই এবং ইডি নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।
মিথ্যা অভিযোগের মামলায় তখন তাঁকে বেশ কিছুদিন পুলিস হেফাজতে থাকতে হয়। সম্প্রতি সিবিআই বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। তাতে জানা গিয়েছে রবীন্দ্রনের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ ছিল স্বপ্না সুরেশের। লাইফ লাইন মিশন প্রকল্পে অনিয়মের মামলায় আগেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাইয়ের এক প্রাক্তন সচিব এম শিবশঙ্করকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
সব মিলিয়ে কেরলের রাজনীতি ক্রমে তপ্ত হয়ে উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের দুটি অনিয়মের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর। তৎপর রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানও। রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের মতে, ইডি, সিবিআই যে আধিকারিকদের মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে তারা প্রশাসনিক মহলে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ফলে পিনারাইকে যে কোনও দিন জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দিল্লির মদকাণ্ডের মতো কেরলের বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে অনিয়ম এবং সোনা পাচারের মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। দিল্লির উপরাজ্যপালের নির্দেশে সিবিআই মদকাণ্ড নিয়ে তদন্তে আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে। কেরলে রাজ্যপাল আরিফ সোনা পাচার এবং লাইফ লাইন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে প্রকাশ্যেই সরব হন।