বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবার সাতসকালে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কেরলের (Kerala) এর্নাকুলাম (Ernakulam) এলাকা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কালামাসেরি (Kalamassery) এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে খ্রিস্টান (Christian) ধর্মাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠান চলছিল বলে খবর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে ওই কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠান চলছে। রবিবারই ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিন। সেখানে প্রায় দু’হাজার জন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পিছনে নাশকতার (Terrorism) ছক থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনআইএ (NIA) এবং এনএসজি (NSG)। এনআইএ-র চার সদস্যের দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ।
এদিকে এই বিস্ফোরণের পিছনে কি হামাস (Hamas) গোষ্ঠী জড়িত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, ঘটনা ঘটার ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে কেরালায় প্রাক্তন হামাস প্রধান খালেদ মাশাল (Khaled Mashal) বক্তৃতা দিয়েছিলেন। খালেদ মালাপ্পুরামে শনিবার ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের এই অনুষ্ঠানে ইসলামিক (Muslim) মৌলবাদীদের হাত থাকতে পারে।
এদিকে কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল, এখনও তা জানা যায়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জখমদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। ছুটিতে থাকা চিকিৎসক এবং নার্সদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেজ, এর্নাকুলাম জেনারেল হাসপাতাল এবং কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজে অতিরিক্ত ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।