বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান বিশ্বকে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ সমগ্র বিশ্বজুড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান ১৮২ টি দেশে পাঁচ লক্ষেরও বেশি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে। ভারতের প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে ভারতের ৩২ টি রাজ্য সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে চলছে লকডাউন। দেশের প্রায় সমস্ত সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে।
করোনা মোকাবিলায় কেরল সরকারের নাম বারবার উঠে এসেছে। বাম শাসিত এই রাজ্যটি সচেতনতা ও সক্রিয়তায় দেশের সমস্ত রাজ্য কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই বিশাল আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করেছে। হাত গুটিয়ে বসে নেই সেখানকার বিধায়করাও। কেরলের পাথানামথিট্টা জেলার কোন্নি কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক কে ইউ জেনিস কুমার এই ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সক্রিয়তার সাথে জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।কখনও জেলাশাসক পিভি নুহু বা অন্য কোনও সরকারি আধিকারিক, কখনও দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীদের নিয়ে তিনি নিজে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি।
তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে চারটে গণ-হেঁসেল খুলেছেন এই সিপিএমের বিধায়ক। যার একটিতে রান্নাবান্নার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং তিনি। সেই রান্না করা খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, সবটাই করছেন তদারকি করছেন এই বাম নেতা।
DYFI থেকে উঠে আসা এই তরুন বিধায়ক জানিয়েছেন, প্রতিটা অঞ্চলে চারটে করে টিমে ভাগ করা হয়েছে সরকারি আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবকদের। একটি টিম রেশন দেখে। দ্বিতীয় টিমের দায়িত্ব রান্না খাবার পৌঁছে দেওয়া। কোন বাড়িতে কার কী ওষুধ বা অন্যান্য জিনিস লাগবে সেসব খোঁজ রাখে এবং পৌঁছে দেয় তৃতীয় টিম। চতুর্থ টিমের দায়িত্ব রোস্টার আপডেট করা। সরকারি দফতরে রিপোর্ট পাঠানো এবং সরকারি নির্দেশ এলে তা অন্যান্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।