বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাম সংগঠনগুলি JNU কাণ্ডের প্রতিবাদে ৮ই ডিসেম্বর সারা ভারতব্যাপী ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনোমতেই বনধ সমর্থনযোগ্য নয়। বনধ এ জনজীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয় পুলিশ প্রশাসনকে সে ব্যাপারে সতর্ক ও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি আজ গঙ্গাসাগর থেকে হেলিপ্যাডে কলকাতা আসার আগে সাংবাদিকদের বলেন ” বামেদের ডাকা বনধকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। কোনও ভাবেই হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নামানো হয়েছে। গায়ের জোর দেখিয়ে কেউ বনধ সফল করতে পারবেনা।” এরই পাশাপাশি এদিন কোথাও কোনও বনধ হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি এদিন বাংলার বাম নেতৃত্বকে কেরলের বাম নেতৃত্বের সাথে তুলনা করে বলেন ” এর থেকে কেরলের বাম নেতৃত্ব অনেক ভালো”।
মমতা এদিন বলেন ” এনআরসির বিপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলও। সবাই এনআরসি নিয়ে আন্দোলন করছে। মিছিল, বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানানো হোক। এইভাবে বনধ ডেকে গুণ্ডামি করার কি মানে! এসব করে কিছু পাল্টানো যায়না। ” প্রসঙ্গত বামেদের ডাকা বনধে এদিন সকাল থেকেই জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে। যাদবপুর , প্রেসিডেন্সি, বেলেঘাটা, চন্দননগর প্রভৃতি নানা জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। রেল ও মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রী সকলেই।
বনধের জেরে এদিন কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের জনজীবন ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ধিক্কার জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটা বনধ ব্যর্থ হচ্ছে। তাও বনধের পর বনধ ডাকছে । এসব করে কোনও লাভ হবেনা। এই করতে করতে দলটা আজ এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে ।”