দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলেন পা, তবুও হার মানেননি, গত ১০ বছর ধরে শুয়ে শুয়ে ছাতা বুনেই জীবনযাপন করছেন তিনি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই করোনা কালে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। যার জেরে কোথাও চাকরি হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, আবার কোথাও বা লকডাউনের ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে একদিকে যেমন নিরাশার অন্ধকার, তেমনি রয়েছে কিছু আশার আলো। মানুষের পাশে এই দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। কখনও কখনও কোন এনজিও সংস্থা কখনও বা জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী, খেলোয়াড় কিম্বা ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসেছেন মানুষের পাশে। এবারও তেমনি এক ঘটনা সামনে এল কেরালার কোজিকোড থেকে।

কেরালার কোজিকোডের পেরামব্রায় এলাকার বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক হরিস৷ ২৩ বছর আগে হঠাৎই এক দুর্ঘটনা বদলে দেয় তার জীবন। হাঁটাচলার সমস্ত ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় তার। তবে বিছানায় শয্যাশায়ী হলেও রয়েছে পেটের টান। আর দিনগুজরান করতেই তাই তিনি আঁকড়ে ধরেন ছাতা তৈরির ব্যবসাকে। গত ১০ বছর ধরে ছাতা তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের ফলে যেমন স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে অন্য অনেক ব্যবসা। তেমনি ধাক্কা লেগেছে হরিসের ছাতা তৈরীর ব্যবসাতেও। কিভাবে দিনগুজরান করবেন তার কোন দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না হরিস।

এ সময় হঠাৎই তার পাশে এসে দাঁড়ায় একটি এনজিও সংস্থা। নিউ লাইফ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামের কেরলের এই এনজিও সংস্থাটি প্রায় হরিশকে এক নতুন জীবন দেন বলা চলে। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হরিসের তৈরি ছাতাগুলি বিক্রি করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তারা। এই দুঃসময়ে এই এনজিও সংস্থার মাধ্যমে কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছেন ওই শয্যাশায়ী ছাতা ব্যবসায়ী।

196983622 3937577753021625 989213171748526887 n

হরিস বলেন, “প্রায় ২৩ বছর আগে আমার সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে আমি ছাতা তৈরীর কাজ শিখি। এখন গত ১০ বছর যাবত আমি ছাতা তৈরি করে বিক্রি করে আসছি। কিন্তু এই করোনা কালে বিক্রি হঠাৎই মারাত্মক রকম কমে যায়। তবে এখন বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে আবার নতুন করে বিক্রি শুরু হয়েছে। নিউ লাইফ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ ব্যাপারে আমাকে খুব সাহায্য করেছে। এটাই আমার একমাত্র উপার্জনের রাস্তা।”

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর