বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের ছবির রিমেক বানিয়ে বাজার কাঁপাচ্ছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (South Film Industry)। অথচ হিন্দি ছবি চলে না সেখানে। সম্প্রতি ‘আর আর আর’ এর সাফল্যের পর এমনি ভাষায় কটাক্ষ শানাতে দেখা গিয়েছিল সলমন খানকে (Salman Khan)। ভাইজানকে এমন কথা বলতে দেখে অনেকেই খোঁচা মেরেছিলেন, দক্ষিণের রমরমা দেখে নাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সলমন।
এবার অভিনেতার অভিযোগের উত্তর দিলেন ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ খ্যাত যশ (Yash)। তাঁর মতে, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভাগ্যটা কিন্তু চিরকাল এত ভাল ছিল না। কোনোদিনই এত দর্শকদের কাছ থেকে এত ভাল সাড়া পাননি ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক প্রযোজকরা। কিন্তু অন্য ভাষায় ডাবিং করার পর থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বাইরের দর্শকরাও ছবির বিষয়বস্তু বুঝতে পারছেন।
কিন্তু প্রথমে এই ডাবিং করা সংষ্করণগুলিও হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছে যেত। কারণ কেউই তখন এসব অত গুরুত্ব দিয়ে দেখত না। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। রাতারাতি কিছুই হয়নি। দর্শকরা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির গল্প বলার ধরনকে বুঝতে শিখেছে, ভালবেসেছে। তারপরেই এসেছে বাহুবলী, কেজিএফ আর সাম্প্রতিক রাজামৌলির আর আর আর এর সাফল্য।
যশের কথায়, “আমাদের সংষ্কৃতিতে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আর সেটা আমাদের দুর্বলতার বদলে আমাদের শক্তি হয়ে উঠুক।” তিনি আরো জানান, দক্ষিণে বহু হিন্দি ছবিও সুপারহিট হয়েছে। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই ভালবাসে।
সলমনের কথার উত্তরে যশ আরো পরামর্শ দেন, বলিউডের উচিত শুধু ছবি রিলিজ করতে হবে বলেই রিলিজ করা না। দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, ভাল প্রযোজনা সংস্থা এগুলোরও দরকার আছে ছবির ব্যবসা ভাল হওয়ার জন্য। এর আগে অভিনেতা রাম চরণও বলেছিলেন, বলিউড ছবির চিত্রনাট্যকারদের লেখায় রয়েছে আসল দোষ। তাদের উচিত ভেদাভেদ না করে গোটা দেশের দর্শকদের জন্য ছবি তৈরি করা।