বাংলাহান্ট ডেস্ক: জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও বেশ একটা মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করছে রাজ্য জুড়ে। এই সময়টাতে আমাদের অনেকের মনই উড়ু উড়ু করে ওঠে। মিঠে রোদ গায়ে মেখে তাই অনেকেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। একেক জনের পছন্দ এক এক রকম। তবে আপনি যদি সমুদ্র প্রেমী হন তাহলে আপনার জন্য আজকে নিয়ে এসেছি একটি অজানা শান্ত সৈকতের খোঁজ।
খেজুরি সৈকতের নাম অনেকেই জানেন না। এই সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে। একবার এই সৈকতে গেলে বাড়ি ফিরে আসতে মন চাইবে না। এই জায়গার পরিবেশ সত্যিই অপূর্ব। বেশ কিছু সময় কাটাতে পারেন এখানকার সৈকতে। এছাড়াও ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে প্রথম ডাকঘর, রাজা রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত একাধিক জায়গা।
আরোও পড়ুন : পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! এবার খুব সহজেই মিলবে নবান্ন স্কলারশিপের টাকা, দেখুন কিভাবে পাবেন
হুগলি নদীর মোহনা দেখতে পাবেন খেজুরি এলে। এছাড়াও এখানে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে হিজলী শরীফ, প্রাচীন ডাকঘরের ধ্বংসাবশেষ। কপালকুণ্ডলার মন্দির এখানকার অন্যতম একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। তাই অবশ্যই এখানে গেলে এই মন্দির দর্শন করতে যাবেন। বেশ পুরনো একটি লাইটহাউজ রয়েছে এখানে।
আরোও পড়ুন : ৩০০ টাকায় ফ্যাশনেবল জ্যাকেট, সোয়েটার মাত্র ২০০! এই বাজারে বিশাল সস্তায় পাবেন শীতের পোশাক
এখানকার ডাকঘর বহু প্রাচীন। অনেকেই বলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির খবর আদান প্রদানের জন্য এখানে প্রথমবারের জন্য ডাকঘর প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৭৭২ সালে। এমনকি এই ডাকঘরে নাকি রাজা রামমোহন রায় রাত্রি যাপন করেছিলেন ১৮৩০ সালের ১৯ নভেম্বর। প্রাকৃতিক দিক থেকে তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম।
এখন আপনাদের মনে আসতেই পারেন কীভাবে যাবেন এই জায়গায়? কলকাতা থেকে খেজুরির দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। কলকাতা বা হাওড়া থেকে সরাসরি বাসে করে আপনারা পৌঁছে যেতে পারেন এখানে। রেলপথে গেলে আপনাকে দীঘা- হাওড়া লাইনের ট্রেনে উঠে নেমে পড়তে হবে হেঁড়িয়া স্টেশনে। এখান থেকে বাসে করে পৌঁছানো যায় খেজুরি।