মডেলিং ছেড়ে খিচুড়ির ব্যবসা! অবাক লাগছে? এই মহিলার আয় ৫০ কোটি, পেয়েছেন অবিশ্বাস্য লাভ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এমন অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরির থেকে ব্যবসাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। স্বাধীন মাধ্যমে উপার্জন করার শ্রেষ্ঠ উপায় হল ব্যবসা। পরিশ্রম করার ক্ষমতা ও একাগ্রতা থাকলে সাফল্য লাভ করা যায় ব্যবসায়। আভা সিংহল ও তাঁর স্বামী মহেন্দ্র কুমার এই কথারই প্রমাণ দিয়েছেন।

আভা সিংহলের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল নিজের কিছু একটা করার। তবে কীভাবে তিনি শুরু করবেন বুঝতে পারছিলেন না। আর পাঁচটা মেয়ের মতো বিয়ে, চাকরি ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেকে সেটেল করতে চাননি আভা। আভা সব সময় চেয়েছিলেন একটু অন্য কিছু করার।আভার জীবনে সফলতার পিছনে রয়েছেন তাঁর বাবা ও স্বামী।

আরোও পড়ুন : মিলে গেল ভারত আর গ্রীস! গঙ্গাবক্ষে অন্যরকম আয়োজন ‘বাংলাহান্টে’র, আলেকজান্দ্রার সুরে মুগ্ধ সকলেই

আভার স্বামী তাঁর ব্যবসার একজন পার্টনারও। স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রথমে খিচুড়ি তৈরির ব্যবসায় নামেন। এই খিচুড়ি তৈরির কোম্পানি  ‘খিচড়ি এক্সপ্রেস’ এখন পরিণত হয়েছে ৫০ কোটি টাকার সংস্থায়। আগে থেকেই একটি ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিল আভার পরিবার। সেখান থেকে আভা বেরিয়ে এসে মার্কেটিং-এ এমবিএ করেন।

মাত্র ৫ হাজার টাকা হাতে নিয়ে মুম্বাইয়ে শুরু করেন জীবন। এক বন্ধুর সাথে মুম্বাইতে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন আভা। প্রথম জীবনে মাসিক ২২ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। তবে চিরকালই আভার স্বপ্ন ছিল বড় কিছু একটা করার।একাগ্রতা ও জেদকে সঙ্গী করে আভা বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী।

আরোও পড়ুন : ফুঁসছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত! পুজোয় ফের ঝেঁপে বৃষ্টি? ধন্দে খোদ আলিপুর আবহাওয়া দফতর

তাঁর খিচুড়ি এক্সপ্রেসের ব্যবসা চলে ক্লাউড কিচেন এবং রেস্টুরেন্টের চেইনের মাধ্যমে। লন্ডনে পড়াশোনা চলাকালীন আভা খিচুড়ি তৈরি করা শেখেন। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি টিফিনের সময় পেতেন। তাই দ্রুত খাবার তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি খিচুড়ি তৈরি করতেন। পরে তিনি ভেবে দেখেন খিচুড়ি যেমন চটজলদি তৈরি হয়, তেমনই পুষ্টিকরও। তাই পরবর্তীকালে আভা সিদ্ধান্ত নেন খিচুড়ির ব্যবসা করবেন।

money

দেশে ফিরে আসার পর আভা মডেলিং ক্ষেত্রেও যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল আরো অনেক বড়। ২০১৯ সালে হায়দরাবাদে আভা ও তাঁর স্বামী তথা ব্যবসার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র কুমার ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে মুম্বাইয়ে শুরু করেন খিচড়ি এক্সপ্রেস। মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদ মিলিয়ে মোট আটটি শাখা রয়েছে এই সংস্থার।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর