বাংলাহান্ট ডেস্ক: কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যাকে কেকে (KK) নামে এক ডাকে চেনে আসমুদ্র হিমাচল। শুধু বলিউডে বেঁধে রাখা যায়নি তাঁর কণ্ঠকে। বাংলা থেকে শুরু করে কন্নড়, তামিল, তেলুগু, মরাঠি, অসমিয়া, গুজরাটি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।
খুদা জানে, জারা সা দিল মে জাগাহ, দিল ইবাদত, আঁখো মে তেরি, তড়প তড়প, আশায়েঁ, বিতে লমহে, পল, ইয়ারোঁ দোস্তি তাঁর সুপারহিট গানের তালিকা শেষ করা যাবে না। প্রেমে পড়া থেকে প্রেম ভাঙা, বন্ধুত্ব, লক্ষ্যপূরণের স্বপ্ন সব বিষয় নিয়েই কোনো না কোনো গান রয়েছে কেকে-র। সেগুলোই এখন সম্পদ তাঁর অগণিত ভক্তদের।
তবে এটা জানেন কি রোম্যান্টিক গানের বাদশা কেকের নিজস্ব জীবনের প্রেমকাহিনিও কোনো সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। মনের মানুষকে নিজের করে পাওয়ার জন্য আরেক ভালবাসা নিজের গান পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আজ জেনে নিন সেই কাহিনি।
বুধবার রবীন্দ্র সদনে যে মানুষটার কফিনবন্দি দেহ দেখে হাউহাউ করে কেঁদে উঠেছিলেন, সেই কেকের সঙ্গে ছোট্টবেলার প্রেম জ্যোতি লক্ষ্মী কৃষ্ণা (Jyoti Lakshmi Krishna)। দুজনেই যখন কিশোর কিশোরী তখন একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁরা। চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
কিন্তু তখন কেকে বেকার। বলিউডে গানের জগতে পা-ই রাখেননি। এদিকে জ্যোতির বাবা মা শর্ত দিয়ে বসেন হবু জামাইকে। নিজের পায়ে দাঁড়ালে তবেই মেয়েকে তুলে দেবেন কেকের হাতে। এক ভালবাসাকে পেতে আরেক ভালবাসাকে সাময়িক বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে চার হাত এক হয় কৃষ্ণকুমার এবং জ্যোতির। সেলসের চাকরি শুরু করেন কেকে। কিন্তু তিন মাসের বেশি থাকতে পারেননি চাকরিতে। তিনি যে গানের জন্যই জন্মেছিলেন। চাকরি ছেড়ে গান নিয়েই এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন কেকে। পাশে ছিলেন স্ত্রী।
না, সঙ্গে সঙ্গে সাফল্য পাননি কেকে-ও। দীর্ঘ আট বছর পর ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় ‘পল’। বাকিটা ইতিহাস। বলিউড পায় তার শ্রেষ্ঠতম গায়কদের মধ্যে এক নক্ষত্রকে, যে তারপর বছরের পর বছর ধরে রাজত্ব করবে ইন্ডাস্ট্রিতে। গানের জন্য জন্ম হয়েছিল কেকের। গান গাইতে গাইতেই বিদায় নিলেন প্রকৃত শিল্পী।