বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের দিনে অনেক আশা করে নাইটদের ম্যাচে চোখ রেখেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভক্তরা। কিন্তু তাদের আশায় সম্পূর্ণ জল ঢেলে দেন শ্রেয়স আইয়াররা। প্রথম তিনটি ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দুরন্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো হায়দরাবাদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না নাইটরা। প্রথমে উমরান মালিক (২/২৭) এবং টি নটরাজনের (৩/৩৫) পেস এবং পরে এইডেন মার্করম এবং রাহুল ত্রিপাঠির দুরন্ত ব্যাটিংয়ের দৌলতে ৭ উইকেটে হারতে হয় তাদের।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফের একবার হতাশ করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মাত্র ১৩ বলে ৬ রান করে নটরাজনের বলে আউট হন তিনি। দলে নবাগত ফিঞ্চকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল কেকেআর ভক্তদের। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। ভালো শুরু করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু সানরাইজার্সের উমরান মালিক নিজের বোলিংয়ের গতি দিয়ে তাকে নাস্তানাবুদ করে দেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় শ্রেয়সের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তিনি।
এরপর কেকেআরের রক্ষাকর্তা হয়ে আসেন নীতিশ রানা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে অর্ধশতরান সম্পূর্ন করেন তিনি। তার সাথে মিলে কেকেআরের ইনিংসকে গতি দেন রাসেল। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও তার ২৫ বলে ৪৯ এবং রানার ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস কেকেআরকে ১৭৫ রানের টার্গেট সেট করতে সাহায্য করে।
শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। ১০ বলে ৩ রান করে কামিন্সের শিকার হন গত দুই ম্যাচের হিরো অভিষেক শর্মা। ১৭ রান করে রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কিউয়ি তারকা উইলিয়ামন। কিন্তু তারপর জ্বলে উঠেন প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠি। ব্যাট হাতে সংহার মূর্তি ধারণ করেন তিনি। ৪ টি চার ও ৬ টি ছক্কা সহযোগে ৩৭ বলে ৭১ রান করেন তিনি। ৩৬ বলে ৬৮ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে তাকে সহায়তা করেন এইডেন মার্করম। তাদের দুর্দান্ত ইনিংসের দৌলতে ২ ওভার আগেই ম্যাচ জিতে নেয় হায়দরাবাদ।