বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য সরকার দ্বারা একাধিক সচেতনতা গ্রহণ করা সত্বেও ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশাই বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন দেখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) এবং তাঁর নির্দেশেই এদিন ‘মশা বাহিত রোগ মোকাবিলা’ বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) আর সেই বৈঠকে এদিন উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উল্লেখ্য, এদিন বৈঠকে পেশ করা রিপোর্টে কলকাতার মোট ১৩ টি এলাকাকে ‘ডেঙ্গি অতি প্রবণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে স্বয়ং ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড নম্বর ৮২ রয়েছে বলে খবর। এক্ষেত্রে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষায় আসা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কলকাতায় মোট ১৩ টি ডেঙ্গি অতি প্রবণ এলাকা শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলি হল যথাক্রমে ৬, ২৬, ৫৩, ৫৯, ৬৯, ৭৪, ৮২, ৮৩, ৯৩, ৯৪, ১১২, ১১৭ ও ১২১। এক্ষেত্রে পাঁচের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে সেগুলিকে ‘ডেঙ্গি অতি প্রবণ’ এলাকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে আর এর মধ্যে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডটি খোদ কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদের।
এছাড়াও এদিন রিপোর্টে ‘ম্যালেরিয়া অতি প্রবণ’ জায়গা হিসেবে মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডকে শনাক্ত করা হয়। এগুলি হলো ৭, ২১, ২৩, ২৫, ২৬, ৩৭, ৩৯, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৫, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭১, ৮১, ৮২, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৮। এক্ষেত্রে তিরিশ জনের উপর ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে ওই এলাকা গুলিকে ক্ষতিকারক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তৃণমূল নেতার ওয়ার্ড-ও।
তবে সূত্রের খবর, বেসরকারি ল্যাব গুলি থেকে এখনো পর্যন্ত বহু তথ্যই মেলেনি। এ সকল তথ্য মিললে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ১ লা জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত মোট কতজন মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তালিকাই এদিন তুলে ধরা হয় বৈঠকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত কয়েক মাসে কলকাতায় জুড়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন, যেখানে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত সংখ্যা ২৭৭২।