বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ মিশনের (Mission Chandrayaan-3) দোরগোড়ায় ইসরো (ISRO)। আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টার অপেক্ষা, তারপরেই ঠিক দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। এই মূহুর্তে গোটা দেশবাসীর একটাই কামনা, এবার যেন সফল হয় বহু প্রতীক্ষিত মিশন। আর এই ঐতিহাসিক দিনে গোটা বিশ্বের নজর ভারতের দিকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ঠিক দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। আর এই চন্দ্রাভিযান ঘিরে ইতিমধ্যেই চড়ছে আশার পারদ। আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে, মন ভেঙেছিল কোটি কোটি ভারতবাসীর। ‘চন্দ্রযান ২’ অনেক আশা নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিলেও তা সফল হয়নি।
বছর চারেক আগে সফ্টল্যান্ডিং ঘিরেই সেবার হার মেনেছিল ভারতের ‘চন্দ্রযান ২’। এবার এটি হতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) ফলো-আপ প্রচেষ্টা। গত বুধবারই প্রযুক্তিগত যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনকি একপ্রস্থ মহড়াও সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানী মহল। এবার কেবল চাঁদে পাড়ি দেওয়ার পালা।
তবে এর পাশাপাশি আরো একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল Chandrayaan-3 মিশন লিড করছেন এক মহিলা বিজ্ঞানী। যিনি এই ঐতিহাসিক মিশনের কান্ডারি তার নাম ঋতু করিধাল (Ritu Karidhal)। দেশবাসী তাকে ভারতের ‘রকেট ওম্যান’ আখ্যা দিয়েছেন। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ কে সফল ভাবে সফট ল্যান্ড করানোর দায়িত্ব রয়েছে এই ঋতু করিধালের কাঁধেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঋতু করিধাল হলেন ইসরো-র চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডিরেক্টর। ভারতের গর্ব এই মহিয়সী নারী লখনউয়ের বাসিন্দা। গোটা মিশনে তার অসাধারণ কর্মদক্ষতা দেখে তার কাঁধেই এই গুরুভার দিয়েছে ইসরো কতৃপক্ষ। জানিয়ে রাখি, এর আগে চন্দ্রযান ২ মিশনের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মঙ্গল যান মিশনেও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন ঋতু।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন ঋতু করিধাল। পছন্দের বিষয় ছিল গণিত আর পদার্থবিদ্যা। পুঁথিগত পড়াশোনা শুরু করেছিলেন লখনউয়ের নবযুগ কন্যা বিদ্যালয় থেকে। এরপর পি জি কলেজ থেকে পদার্থবি়জ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করেন লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর গেট পরীক্ষায় ভালো স্কোর করে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য সুযোগ পান বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে। সেখানে এমটেক করার পর ১৯৯৭ সালে ইসরো জয়েন করেন তিনি। ২০০৭ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের হাত থেকে পেয়েছেন ইয়ং সায়েন্টিস্ট আওয়ার্ড।