বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে নাগরিকত্বের প্রমান দাখিল নিয়ে যেন কি একটা শুরু হয়েছে। গত তিন থেকে চারমাস ধরে এই নাগরিকত্ব ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা। কখনও এনআরসি আবার কখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যেন একের পর এক মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ঘা দগদগে। তারওপরে যোগ হয়েছে এবার এনপিআর।
অর্থাত্ ন্যাশানাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার বা জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্ট্রার। নতুন বছরের শুরুতেই তৈরি হবে এনপিআর। আর তাই সকলকে নাম তুলতে গেলে আবারও নতুন করে পরিচয় দিতে হবে। যদিও বিষয়টি স্বাধীনতার ৭৩ বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনাই বটে। তারসঙ্গে ঝামেলা ঝক্কি তো বটেই। একের পর এক পরীক্ষা দিয়ে যেতেই হচ্ছে। এমনিতেই এনআরসির জন্য লাগবে পরিচয় পত্র। আধার কার্ডকে কোনো পরিচয় পত্রের প্রমান হিসেবে দেখা হচ্ছে না।
তবে প্রমানের জন্য দিতে হবে আট ধরনের তথ্য। আর তার মধ্যে আধার নম্বর মাস্ট। এছাড়াও দিতে হবে মোবাইল ফোনের নম্বর, মা ও বাবার জন্মতারিখ, জন্মস্থান, আগের বাড়ির ঠিকানা, ভারতীয় পাসপোর্টের নম্বর (থাকলে), ভোটার আইডি কার্ড ও ‘প্যান’ কার্ডের নম্বর, পরিবারের প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক, জন্ম সাল, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিবাহিত না অবিবাহিত, যেখানে আছেন সেখানকার ঠিকানা এবং কতদিন ধরে আছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য, আগের বাড়ির ঠিকানা, বাবা মায়ের মোবাইল নম্বর, যদি ভারতের পাসপোর্ট থাকে তার নম্বর ইত্যাদি।
জানাতে হবে গাড়ির লাইসেন্সের নম্বরও যদি থাকে। যদিও এর আগে ২০১০ সালে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্ট্রার প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে এত কিছু তথ্য জরুরী ছিল না বলে জানানো হয়েছে।