বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাগপঞ্চমী (Nagpanchami), শিব ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পঞ্চমী তিথিতে নাগদেবতার পূজা করা হয়। মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত নাগচন্দ্রেশ্বর মন্দিরেও এবছর করোনা আবহের মধ্যেই খুলে দেওয়া হল মন্দিরের দ্বার। পূজার আয়োজন করা হলেও, সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। অনলাইনেই তাঁদের জন্য দর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল।
পুরাণ মতে, সমুদ্র মন্থনের পর নিজে উঠে আসা বিষ নিজ কন্ঠে ধারণ করে দেবকূলকে রক্ষা করেছিলেন মহাদেব। শিবের গলায় জড়িয়ে থাকে বলে, সাপকে নাগেশ্বরও বলা হয়। কথিত আছে, নাগ লোক বা পাতাল থেকে সর্পকুল মর্তের মানুষকে আশির্বাদ দান করে। জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি, অভাব অনটন ঘোচাতে সাপের আশির্বাদ খুবই কার্যকরী বলেও মনে করা হয়। এইভাবেই নাগ দেবতার পুজো প্রচলন হয়।
এইদিন নাগদেবতাকে প্রসন্ন করতে দুধ কলা উৎসর্গ করলে ধনসম্পদ, মান সম্মান, নাম-যশ ইত্যাদি প্রাপ্ত হয় বলেও মনে করা হয়। দুধ নিয়ে নাগদেবতাকে স্নান করানোর সাথে চন্দন, হলুদ ও সিঁদুরও রাখতে হয় পূজার থালায়। পূজা শেষে মূর্তির সামনে কর্পূরের প্রদীপ জ্বালিয়ে নাগপঞ্চমী ব্রতকথা পাঠ করার রেওয়াজও আছে।
তিথি অনুযায়ী এবছর ২৫ শে জুলাই দিনটি পড়েছে নাগপঞ্চমীর দিন। এই পূজার শুভ সময় শুরু হচ্ছে দুপুর ২টো ৩৪ মিনিটে। শনিবার বেলা ১২টা ২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই তিথি।