বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতি বছরের অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবারটি সমগ্র বিশ্বজুড়েই পালিত হয় বন্ধুত্ব দিবস তথা “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day) হিসেবে। এমতাবস্থায়, এই বিশেষ দিনটিতে আমরা সকলেই বন্ধুত্বকে উদযাপন করি। কিন্তু, আপনি কি জানেন এই “ফ্রেন্ডশিপ ডে” পালন করে শুরু করেন কে? বন্ধুত্বের জন্যও যে একটা দিন থাকা উচিত এই কথা কার মাথায় এলো?
জেনে নিন “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day)-র ইতিহাস:
আসলে, অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব। প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, ভারত এবং আমেরিকার মতো দেশে অগাস্টের প্রথম রবিবার “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day) পালিত হয়। অপরদিকে, UK সহ কিছু দেশে ৩০ জুলাই “ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে” পালন করা হয়।
“ফ্রেন্ডশিপ ডে”-র ইতিহাস: জানিয়ে রাখি যে, “ফ্রেন্ডশিপ ডে”-র ধারণা সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে জয়েস হল দিয়েছিলেন। জয়েস হল হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁকে বন্ধুদের মধ্যে “বন্ধন” খুব অনুপ্রাণিত করেছিল। এরপরে তাঁর মাথায় ভাবনা আসে যে বন্ধুদের উচিত তাঁদের বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি উদযাপন করা। হলের এই ধারণাটি ক্রমশ সবার অত্যন্ত পছন্দ হয়। ধীরে ধীরে প্রত্যেকেই “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day) উদযাপন করতে শুরু করেন। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: হয়ে গেল কনফার্ম! ২৭ হাজার কোটি খরচ করে ২৭ হাজার জনকে চাকরি দেবেন রতন টাটা, সামনে এল প্ল্যান
১৯৯৮ সালে, জাতিসংঘ ৩০ জুলাইকে “ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে” হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালে জাতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবারকে “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day) হিসেবে পালন করার জন্য ঘোষণা করে। মূলত, এই বিশেষ দিন পালনের লক্ষ্য হল মানুষ, দেশ, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন মনোভাবের ব্যক্তিদের মধ্যে মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি বজায় রাখা। যেখানে “ফ্রেন্ডশিপ ডে” একটি সেতুর মতো কাজ করে। জানিয়ে রাখি যে, “ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ ডে” অফিসিয়ালি ৩০ জুলাই পালিত হলেও অনেক দেশেই এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে। এমতাবস্থায়, আমেরিকা এবং ভারতের মতো দেশে, অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস পালিত হয়।
আরও পড়ুন: করে নিন দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা! ৭ সেকেন্ডের মধ্যে এই ছবিতে থাকা পাখিটি খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস
“ফ্রেন্ডশিপ ডে”-র গুরুত্ব: জানিয়ে রাখি যে, বন্ধুত্ব কোনও নির্দিষ্ট বয়সে সীমাবদ্ধ থাকেনা। যাঁদের কাছে আমরা খুব সহজেই কোনও কিছু ভাবনা চিন্তা না করে নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করতে পারি এবং নিজেদের অনুভূতি জানাতে পারি তাঁরাই প্রকৃত বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোনও শর্ত ছাড়াই বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। যা আমাদের মনে বিশেষ জায়গা ধারণ করে। আর এই বন্ধুত্বকে উদযাপনের লক্ষ্যেই “ফ্রেন্ডশিপ ডে” (Friendship Day) পালন করেন সবাই।