বাংলহান্ট ডেস্কঃ নতুন বছররে শুরুর দিন সকালের দিকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা রোদের ছটা প্রকাশ পেয়েছিল। তবে আজ কিন্তু সকাল থেকে মেঘলা মেঘলা আকাশ দেখা যাচ্ছে। বৃদ্ধি পেতে পারে মেঘও। এবং এর পাশাপাশি আবছা রোদ বিরাজ করবে বলে জানাল আবহাওয়া দফতর (Weather office)। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। বৃষ্টির শুরুর অপেক্ষজ
ইংরেজি নববর্ষ শুরুর আগেই মানুষ এক অজানা আতঙ্কে ভুগছিল। আর এখন সেই আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস (COVID-19)। এই ভাইরাসের জেরে বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। সকলেই এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে তাপমাত্রার ব্যাপকহারে বৃদ্ধিই পারে এই ভাইরাসের জীবাণু ধবংস করতে। তাই বর্তমানে তাপমাত্রা বাড়লেও কিন্তু তার পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে।
আবার, আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামা করবে। যার দরুণ তাপমাত্রা বাড়বে , আবার কমবেও। একটানা বেশি গরম পড়বে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ মেঘ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সঙ্গে আবছা রোদ বিরাজ করবে। দমকা বাতাস বইতে পারে। এর পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা দিনের বেলাতে বেশি রয়েছে। রাতের দিকে সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামি সপ্তাহে রাঁচি সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলি ১৪ এবং ১৫ ই এপ্রিল আংশিকভাবে মেঘলা থাকবে। এছাড়াও ১৪ এবং ১৫ ই এপ্রিল রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুতের সাথে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলা গুলিতেও।
অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের উপর বিচ্ছিন্ন তুষারপাত হতে পারে। আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জগুলিতে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে ।