বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি যে অফিসই কাজ করুন না কেন! উভয় ক্ষেত্রেই বেতনের কিছুটা অংশ কেটে নেওয়া হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Provident Fund) জন্য। সমস্ত সংস্থাতেই বেতন থেকে এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কাটা হয়। আর সেই টাকা ধীরে ধীরে জমা হয় পিএফ-এর অ্যাকাউন্টে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মত এই পিএফ অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার উপর সুদ-ও পাওয়া যায়।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Provident Fund) টাকা নিয়ে কী করে সরকার?
এক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা পিএফ (Provident Fund)-এর জন্য কেটে নেওয়া হয় ওই একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় সরকারের তরফেও। এখন প্রশ্ন হল আসলে এই পিএফ-এর টাকা নিয়ে কি করে সরকার? অন্য কোথাও বিনিয়োগ করে নাকি এই টাকা চিরকালের জন্য পিএফই থেকে যায়?
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে কি হয়?
কেউ যদি ভেবে থাকেন তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Provident Fund) টাকা সব সময় অ্যাকাউন্টেই পড়ে রয়েছে তাহলে কিন্তু তিনি ভুল ভাবছেন। আসলে এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সরকার বিনিয়োগ করে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন ইপিএফের জমানো টাকা সরকারি নীতি মেনেই বিনিয়োগ করে থাকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির নিয়ম মেনে এই বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাঘ বন্দিতে উচ্ছসিত মমতা! খুশি হয়ে বনকর্মীদের তিনি বলেই ফেললেন…
সরকারের টাকা নিয়ে কি করে?
ইপিএফও এই প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমানো টাকার একটা বড় অংশ সরকারি ফান্ডের মতো ডেড ফান্ডে বিনিয়োগ করে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের নিরিখে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের জমানো মোটা টাকার পরিমাণ ২৪.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা। এরমধ্যে কেন্দ্র সরকার ২২.৪১ লক্ষ কোটি টাকা ডেট ফান্ডে বিনিয়োগ করে।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডিট ফান্ডে বিনিয়োগ
সরকারের তরফে এই ইপিএফ ওর একটি অংশ স্টক মার্কেটেও বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। মূলত ইটিএফ বা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়। মূলত বিএসই সেনসেক্স, এনএসই নিফটি ৫০ সূচকের উপর ভিত্তি করে এই বিনিয়োগ হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে ইপিএফ প্রথম এই বিনিয়োগ করা শুরু করে। তবে সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ইপিএফও তাদের জমানো টাকা কখনই কোনো নির্দিষ্ট শেয়ারে সরাসরি বিনিয়োগ করে না।